চট্টগ্রামের সকাল শুরু হয়েছিল যেভাবে, তাতে দিনের রঙটাই যেন ঠিক করে দিয়েছিল তাইজুল ইসলাম। দিনের প্রথম বলেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এরপর উইকেটে দেখা মেলে সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়ের দৃঢ়তায় ভরপুর এক বাংলাদেশি সকাল।
আজ প্রথম দিনের শেষ সেশনে পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের কামব্যাকের নায়ক হয়েছিলেন তাইজুল। দ্বিতীয় দিন শুরু করলেন আরও নাটকীয়ভাবে। ইনিংসের প্রথম বলেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে কট বিহাইন্ড করিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে দিলেন তিনি। সঙ্গী হলেন ছয় উইকেটের ঝলক।
জবাবে ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার দেখালেন পরিণত ব্যাটিং। বোলারদের সামলে ধীরে ধীরে নিজেদের জমিয়ে নেন তারা। ২৬ ওভারে বিনা উইকেটে ১০৫ রানে পৌঁছায় দল, টেস্টে বহুদিন পর এমন শুরুতে প্রাণ ফিরে পায় ড্রেসিংরুমও। এর আগে জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংসে থামে ২২৭ রানে। তাইজুলের ৬ উইকেট।
দীর্ঘ সময় পর একাদশে ফেরা সাদমান ইসলাম যেন বুঝিয়ে দিলেন, কেন তিনি ওপেনিংয়ের জন্য যোগ্যতম। ৯১ বলে ৬৬ রান করে টেস্টে পূর্ণ করলেন নিজের এক হাজার রান। অন্যপ্রান্তে এনামুল হক বিজয়ও টেস্টে নিজের সর্বোচ্চ স্কোর গড়লেন—৬৫ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত। ১২ ইনিংস পর ওপেনিংয়ে পঞ্চাশ পার হওয়া জুটি, আর ৩২ ইনিংস পর শতরান!
বাংলাদেশি ওপেনারদের আটকে রাখতেই যেন হিমশিম খেয়েছেন সফরকারীরা। প্রথম সেশনে ছয়জন বোলার ব্যবহার করেও ফল মেলেনি। রিচার্ড এনগারাভা ও মুজারাবানি ছিলেন ধারহীন, স্পিনে ওয়েলিংটন কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও উইকেট পাননি। নবাগত লেগস্পিনার মাসেকেসার অভিষেকটাও তাই ভুলে যাওয়ার মতো।
চট্টগ্রামের সকাল তাইজুলের বলে শুরু হলেও, দিনটা জমেছে সাদমান-এনামুলের ব্যাটে। ব্যর্থতার চাপের মধ্যে এমন জুটি যেন বাংলাদেশ শিবিরে আনে নতুন আশার আলো।
Discussion about this post