ওয়ানডে অভিষেকটা স্মরনীয় করে রাখলেন তাইজুল ইসলাম। রীতিমতো ইতিহাস গড়লেন তাইজুল ইসলাম। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করার দুর্লভ রেকর্ডের মালিক হলেন এ স্পিনার। তাইজুলের সঙ্গে জুবায়ের হোসেন ও সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘুর্নি! তাতেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ৩০ ওভারে অলআউট মাত্র ১২৮ রানে।
তাইজুল নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশের আরেক স্পিনার সাকিব আল হাসানের শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট জুবায়ের হোসেনের।
এরপর জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ জবাবে ২৪.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
লক্ষ্য ৫-০। সেটাই পুর্ন হল। টেস্টের পর ওয়ানডেতেও ধোলাই হল জিম্বাবুয়ে।
সেই মিশনেই সোমবার মাঠে নামে বাংলাদেশ। দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে অবশ্য টস ভাগ্যটা মাশরাফি বিন মর্তুজার ছিল না। জিম্বাবুয়ে টস জিতে নিজেরাই ব্যাট করতে নেমেছে। তবে আগের মতো তাদের চেপে ধরে বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুতেই মাশরাফি ফিরিয়েছেন সিকান্দার রাজাকে। এরপর ফিরে যান ভুসি সিবান্দা (৩৭), ব্রেন্ডন টেলর (৯) এবং হ্যামিলটন মাসাকাদজা (৫২)। চলতে থাকে উইকেটে আসা আর যাওয়ার মিছিল। মাত্র ৩৩ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
এরপর তো শুধুই বাংলাদেশের বোলারদের গল্প। তাইজুলের হ্যাটট্রিক আর সাকিবের ঘুর্নি যাদু!
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে চতুর্থ আর সব মিলিয়ে ৩৬তম হ্যাটট্রিক করলেন তাইজুল।
বাংলাদেশের হয়ে এ ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হল সৌম্য সরকার এবং তাইজুল ইসলামের। তাইতো বিশ্রাম দেয়া হয় ইমরুল কায়েস এবং রুবেল হোসেনকে।
জিম্বাবুয়ে দলে ফিরেন সিকান্দার রাজা, টিনাশে পানিয়াঙ্গারা ও জন নিউম্বু।
এর আগে টেস্ট সিরিজে সফরকারীদের ৩-০’তে ধবলধোলাই করেছে মুশফিকুর রহীমের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জিম্বাবুয়ে: ৩০ ওভারে ১২৮/১০ (মাসাকাদজা ৫২; তাইজুল ৪/১১, সাকিব ৩/৩০, জুবায়ের ২/৪১, মাশরাফি ১/২৩)
বাংলাদেশ: ২৪.৩ ওভারে ১৩০/৫ (তামিম ১০, এনামুল ৮, সৌম্য ২০, মাহমুদুল্লাহ ৫১*, সাকিব ০, মুশফিক ১১, সাব্বির ১৩*; চাটারা ৩/৪৪, পানিয়াঙ্গারা ২/৪৯)।
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: তাইজুল ইসলাম
সিরিজ: বাংলাদেশ ৫-০ ‘তে জয়ী
সিরিজসেরা: মুশফিকুর রহীম
Discussion about this post