ঢাকা টেস্টে তবে কি হার অপেক্ষায় বাংলাদেশের?
আপাতত দৃশ্যপট তাই। তবে প্রথম ইনিংসে ভরাডুবিই পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। যদিও এরপর ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে লড়ছে বাংলাদেশ, তবে কিছুতেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি যোগ হবে কীনা সন্দেহ!
অথচ সোমবার টেস্টের প্রথম দিন শেষ বিকেলে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদু পথ দেখিয়েছিল। কিন্তু আজ মঙ্গলবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে কাইল ভেরেইনা-ডেন পিটরা দৃঢ়চেতা লড়াইয়ে পাল্টে দেন দৃশ্যপট। যে উইকেটে প্রোটিয়া ব্যাটাররা রান তুলেছেন কৌেলে সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছিলেন ব্যর্থ, আসা যাওয়ার মিছিলে।
যদিও মাহমুদুল হাসান জয়-মুশফিকুর রহিমের জুটি পথ দেখাচ্ছে। মঙ্গলবার মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের চেয়ে পিছিয়ে ১০১ রানে স্বাগতিকরা।
জয় ৩৮ ও মুশফিক ৩১ রানে অপরাজিত থেকে দিন মেষ করেন। দুজনের জুটিতে এসেছে ৪২ রান। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৬ হাজারি ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিক।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ২০২ রানের লিডের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ৪ রানে হারায় ২ উইকেট। সাদমান ইসলাম ১ রানে ফেরার পর মুমিনুল ফেরেন কোন রান না করেই। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ডে মোহাম্মদ আশরাফুলকে (১৬ শূন্য) ছুঁতে আর একটি শূন্য প্রয়োজন তার। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ২৩ রানে আউট।
এর আগে ভেরেইনার সেঞ্চুরি ভর করে বাংলাদেশের ১০৬ রানের জবাবে প্রোটিয়ারা করে ৩০৮। ভেরেইনা ১১৪ রান তুলেন। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০৬/১০
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৮৮.৪ ওভারে ৩০৮ (আগের দিন ১৪০/৬) (ভেরেইনা ১১৪, মুল্ডার ৫৪, মহারাজ ০, পিট ৩২, রাবাদা ২*; হাসান ১৯-২-৬৬-৩, মিরাজ ১৫.৪-০-৬৩-২, তাইজুল ৩৬-৩-১২২-৫, নাঈম ১৮-১-৪৯-০)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৭.১ ওভারে ১০১/৩ (জয় ৩৮*, সাদমান ১, মুমিনুল ০, শান্ত ২৭, মুশফিক ৩১*; রাবাদা ৭-৩-১০-২, মুল্ডার ৭-১-২৩-০, মহারাজ ৯-০-৩৩-১, পিট ৪.১-০-২৯-০)।
#২য় দিন শেষে
Discussion about this post