ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টি-টোয়েন্টিতে শেষ দিকের অভাবগুলোতে বল করা যেকোন বোলারের জন্য কষ্টকর। কেননা ঐ সময়ে বল করতে বড় হৃদয় থাকতে হয় বোলারদের। উপভোগ করতে জানতে হয় প্রচণ্ড চাপে থাকার মুহূর্তগুলো। তবেই বড় ব্যাট ও ছোট বাউন্ডারির এই যুগে ব্যাটসম্যানদের দমিয়ে রাখা সম্ভব।
শেষ দিকের ওভারগুলোতে ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে বেঁধে রাখার কাজটা করতে পারেন হাতে গোনা কয়েকজন বোলার। তাদের মধ্যে অন্যতম লাসিথ মালিঙ্গা। ডেথ ওভারে বোলিংয়ের সময় তার মুখে থাকে চওড়া হাসি! তিনি জানেন ব্যাটসম্যান কী করতে চাইছে, আর তার হাতে কী অস্ত্র আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগের মতো নিয়মিত না হলেও মালিঙ্গা এখনো ধার হারাননি। গত বছর আইপিএল চেন্নাই সুপার কিংসের মুখ কাছ থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিঙ্গা, সেই শেষ ওভারের বোলিং দিয়েই।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভার, অর্থাৎ ১৬-২০ ওভারে ইকোনমি রেট বিবেচনায় তৈরি সে তালিকায় চার নম্বরে আছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। তার ওপরেই আছেন ভারতের যশপ্রীত বুমরা। শীর্ষে থাকা নামটি অবশ্য চমকে দিতে পারে—টাইমাল মিলস। সময়ের আলোচিত বোলারদের মধ্যে ছয় নম্বরে আছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির, দ্বিতীয় ওয়াহাব রিয়াজ। মিচেল স্টার্কের নামও আসতে পারত তালিকায়। অনেকে তো স্টার্ককে সাদা বলের ক্রিকেটের আদর্শ বোলার মনে করেন। কিন্তু বড় টুর্নামেন্ট ছাড়া খুব বেশি ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলেন না এই বাঁহাতি অস্ট্রেলীয় পেসার। তাই পরিসংখ্যানে স্টার্ককে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
ডেথ ওভারে বল করা শীর্ষে থাকা ইংলিশ ফাস্ট বোলার টাইমাল মিলসের ইকোনমি ৭.৩৬, অর্থাৎ টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের শেষের দিকে ওভারগুলোতে গড়ে ৭.৩৬ রান করে দেন মিলস। কিন্তু এখন আর নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন না এই বাঁহাতি। এদিকে ৭.৪২ ইকোনমি পাকিস্তানি ওয়াহাব রিয়াজের। যশপ্রীত বুমরা ও মুস্তাফিজুর রহমান আছেন তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে। দুজনই ডেথ ওভারে ৮ রান করে দেন। পাকিস্তানের জুনায়েদ খান, মোহাম্মদ আমির, ইংল্যান্ডের জফরা আর্চার আছেন মোস্তাফিজদের কাছাকাছি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিস মরিস, শ্রীলঙ্কার ইসুরু উদানা ও ভারতের সিদ্ধার্থ কৌলও ডেথ ওভারে ভালো করে নাম কামিয়েছেন।
Discussion about this post