ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফের দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ফিরতে চান এবি ডি ভিলিয়ার্স। সেটা আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই। ব্যাপারটি আরও উজ্জ্বল হয়েছিল দেশটির প্রধান কোচ হয়ে মার্ক বাউচার ফেরায়। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের কারণে যেন তাতে লেগেছে ধাক্কা। আর তাই নতুন করে হিসেবে কষছেন তিনি।
আইপিএলের পর ডি ভিলিয়ার্সকে দলে ফেরানোর চিন্তা করা হবে বলে ধারণা করেছিলেন অনেকে। এদিকে জুনে শ্রীলঙ্কা আর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু সব ওলট-পালট করে দিয়েছে করোনাভাইরাস।
করোনার কারণে আইপিএল স্থগিত হয়ে গেছে। কবে হবে, আদৌ হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। বিশ্বকাপ এখনো পাঁচ-ছয় মাস দূরে ঠিকই, কিন্তু সেটির প্রস্তুতির ব্যাপার তো আছে। করোনা সেই প্রস্তুতি থামিয়ে দিয়েছে, বিশ্বকাপ পড়েছে সংশয়ে। এই অবস্থায় ‘এবি’র মাথায় চলছে অনেক সমীকরণ, ‘যদি টুর্নামেন্টটা (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) এক বছর পিছিয়ে যায়, অনেক কিছুই বদলে যাবে। এই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছে আমি খেলার মতো অবস্থায় আছি, কিন্তু ওই সময় আমার শরীরের অবস্থা কী থাকবে, আমি ফিট থাকব কি না তা তো জানি না।’
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো করোনায় আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকাও। যে কারণে দেশটি রয়েছে ৩৫ দিনের লকডাউনে। তাই গিয়ে নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে পারছেন না ভিলিয়ার্স। আর তাই এ ব্যাপারে শঙ্কা জাগছে তার। পাশাপাশি নিজের একটা নীতিও জানিয়ে দিয়েছেন এবি, ‘আমি শারীরিকভাবে যে অবস্থায় থাকতে চাই, শতভাগ সেই অবস্থায় থাকলেই কেবল খেলার ইচ্ছা জানাব। তা না হলে আর খেলার আগ্রহের কথা জানাব না। কারণ আমি ৮০ ভাগ ফিটনেস নিয়েও খেলে যাওয়ার মানুষ নই।’
মাঠে ফেরার আগে ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করতে চান এবি। যদি ফেল করেন তবে অন্য ভূমিকায় দলের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা তার, ‘আমি জানুয়ারিতে সর্বশেষ খেলেছি, আগামী তিন মাসও হয়তো আমার আর খেলা হবে না। আমার শারীরিক অবস্থা ততদিনে বদলে যেতে পারে। বাউচকে (বাউচার) তখন হয়তো আমার বলতে হতে পারে, আমার খেলার ইচ্ছা ছিল কিন্তু এখন আর পারব না। অন্য কোনো ভূমিকায় থাকতে পারলে ভালো লাগবে।’
Discussion about this post