প্রথমবারের মতো টেস্টের অভিজাত অঙ্গনে পা রেখেছেন তিনি। যদিও এখনো একাদশে খেলার সুযোগ পাননি। মাঠের বাইরে বসেই দেখেছেন ক্যান্ডি টেস্ট। বৃহস্পতিবার শুরু শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজের পরের টেস্টে যে একাদশে জায়গা মিলবে। দলের চতুর্দশ সদস্য শরিফুল ইসলাম। অবশ্য জানালেন-সুযোগ পেলে নিজের উজাড় করে দিয়ে খেলবেন। তরুণ এই বাঁহাতি পেসার।
ড্রেসিংরুমে বসে নিয়েছেন প্রথম টেস্টের উত্তাপ নিয়েছেন শরিফুল। মঙ্গলবার ক্যান্ডি থেকে বিসিবির পাঠান ভিডিও বার্তায় তিনি জানালেন আত্মবিশ্বাসের কথা।
টেস্টের রোমাঞ্চে মুগ্ধ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই পেসার বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ফোরটিন্থ ম্যান ছিলাম। আর এতো কাছ থেকে টেস্ট ক্রিকেট আমি কখনও দেখি নাই। তো আমার জন্য একটু রোমাঞ্চকর ছিল। এত কাছ থেকে টেস্ট খেলা আমি কখনো দেখিনি, আমার জন্য খুবই আনন্দের ছিল। টেস্ট খেলাটা আসলে মজার খেলা, প্রতি সেশনে সেশনে ধরন পাল্টায়, বার্তা পাঠানো হয়। আমার মনে হয়নি যে আমি ম্যাচের বাইরে আছি। সব সময় মনে হচ্ছিল আমি ম্যাচ খেলছি।’
প্রথম টেস্টের ১৫ জনের দলে ছিলেন শরিফুল। কিন্তু পেস অ্যাটাকে ছিলেন আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘টেস্ট খেলাটা একটু কঠিন, যে পরিবেশে খেলা হচ্ছিল তা কষ্টের। পেস বোলারদের একটু পরপর পানি খাওয়ানো, তাদের সঙ্গ কথা বলা, তাদের কাছ থেকে কিছু জানা। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যে রকম মজার আছে সেরকম ওদের একটু কষ্টও আছে। তো এটা (কষ্ট) আসলে খেলারই অংশ, এটা আমাদের হাতে নেই। এটা জয় করে আমাদের ভালো কিছু করতে হবে।’
সুযোগ পেলে দিতে চান সেরাটা। শরিফুল বলেন, ‘টেস্ট দলে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটাই দেবেন। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি যখন খেলা শুরু করছি, তখনই আমার চিন্তা ছিল তিন ফরম্যাটে খেলবো। এখন যদি আমি টেস্ট খেলি কখনও, তখন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
২৯ এপ্রিল ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে শুরু হবে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। তারপরই দেশে ফিরবে টাইগাররা।
Discussion about this post