৩৭ পেরিয়েছেন গত ফেব্রুয়ারিতে। বয়স ৩৮ ছুঁইছুঁই। তারওপর জাতীয় দল থেকে তো ডাকই আসছে না। আর কতো অপেক্ষা করা যায়? পাঁচবছর তো হয়ে গেল। তাইতো বাস্তবতা বুঝে এবার বিদায় বলে ফেললেন টেস্ট ক্রিকেটকে। টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন বাঁহাতি এই তারকা ব্যাটার।
আজ বুধবার এক ভিডিও বার্তায় বললেন, আগামী ১৬ নভেম্বর জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের হয়ে নিজের সবশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচটি খেলবেন। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্টই তার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল। ওই টেস্টের পর আর জাতীয় দলে ডাক মেলেনি।
যদিও তারপর খেলে গেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। পাঁচ বছর অপেক্ষা শেষে এবার গুডবাই বলে দিলেন। বুধবার ইমরুল নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে পোস্ট করে লেখেন ‘বিদায় টেস্ট ক্রিকেট। আপনাদের ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞ।’
ভিডিও বার্তায় ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সকল ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের প্রতি ভালোবাসা রেখে জানাতে চাচ্ছি যে আমি খুব দ্রুতই একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। আগামী ১৬ নভেম্বর আমি টেস্ট ক্রিকেটের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘোষণা করতে যাচ্ছি। সেই সাথে আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেরও সমাপ্তি করতে যাচ্ছি। এটি জীবনে ১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে কঠিন ও আবেগের একটি মুহূর্ত।’
২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় তার। ২০০৮ সালের নভেম্বরে টেস্ট অভিষেক। এই ফরম্যাটে ৩৯ ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরিসহ ২৪.২৮ গড়ে তুলেছেন ১৭৯৭ রান। ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রান, চট্টগ্রামে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৩৭ ম্যাচ খেলে ৩৪ গড়ে করেছেন ৭৯৩০ রান। হাঁকিয়েছেন ২০টি সেঞ্চুরি ও ২৭টি হাফ সেঞ্চুরি।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় বললেও ইমরুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ও ঘরোয়া ওয়ানডেতে খেলবেন। বিপিএলের ১১তম আসরে খুলনা টাইগার্স দলে নিয়েছে তাকে।
Discussion about this post