জয়ের ছন্দে রয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। গতবার রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হয়েছে তাদের। এবার শিরোপায় চোখ। সেই মিশনে নেমে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে টানা তৃতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
মঙ্গলবার লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। তাদের বিপক্ষে মাশরাফির রূপগঞ্জ তুলে নিয়েছে ৩ উইকেটের জয়।
সকালে বিকেএসপিতে টস ভাগ্য লিজেন্ডসদের পক্ষেই ছিল। মাশরাফি প্রতিপক্ষের হাতে বল তুলে দেন। তানজিদ হাসান তামিমের সেঞ্চুরিতে (১৪২) ব্রাদার্স ৫০ ওভারে তুলে ৫ উইকেটে ২৯৯ রান। জবাব দিতে নেমে ফের কথা বলল চিরাগ জানির ব্যাট। ৯৪ রান আসে এই ভারতীয়র ব্যাট থেকে। আর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৪৮.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পা রাখে জয়ের বন্দরে।
ব্যাটে-বলে দাপটে ফের ম্যাচসেরা চিরাগ জানি।
অথচ ম্যাচটা হতে পারতো ব্রাদার্সের তামিমের। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ক্যারিয়ার সেরা ১৪২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তানজীদ হাসান তামিম। তার সেই ইনিংসকে ম্লান করে দেন চিরাগ জানি-পারভেজ হোসেন ইমনরা। মাশরাফি বিন মুর্তজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ তুলে নেয় আরেকটি জয়।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে তামিমের ব্যাটে ৫ উইকেট ২৯৯ রান করে ব্রাদার্স। রান তাড়ায় ৮ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ। ম্যাচে ৪৩ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইমন। তবে জয়ের নায়ক চিরাগ। এই অলরাউন্ডার ৮৪ বলে ৯৪ রান তুলেন। ৬ রানের জন্য মিস করেন শতক। ৭টি চার ও ১টি ছয়ের সমাহারে তার ইনিংস ছিল দেখার মতো।
চিরাগ যখন আউট হন দল তখন জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে লিজেন্ডসরা। তারপর ১৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সোহাগ গাজী। তার আগে ইরফান শুক্কুর ৬৯ বলে ৫৩ রান করেন। ইনফর্ম সাব্বির ৪৩ বলে ৩৪ ও তানভীর হায়দার ১৩ বলে ২৬ রান তুলেন। ব্রাদার্সের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন সাব্বির হোসেন-রাহাতুল ফেরদাউস।
এর আগে এক প্রান্তে আগলে রেখে দলকে বড় পুঁজি এনে দেন দিনের শুরুটা ছিল তামিমের। তিনি ১৪২ বলে ১৪২ রান করেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার আগের সেরা ছিল অপরাজিত ১০১ রান। এছাড়া মাইশুকুর রহমান ৪৯ বলে ৫৩ রান করেন।
রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন চিরাগ জানি। মাশরাফি ১ উইকেট তুলেন। ব্যাটে বলে দাপটে ম্যাচের সেরা চিরাগ জানি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৫০ ওভারে ২৯৯/৫ (মিজানুর ২০, তানজিদ ১৪২, সাব্বির ৩৭, আনিসুল ২৮, মাইশুকুর ৫৩, জাহিদুজ্জামান ৭, নাদিফ ১; সোহাগ ৭-০-৩৫-১, চিরাগ ১০-০-৪৭-২, আল আমিন ১০-০-৬৭-১, মাশরাফি ১০-০-৬৯-১, নাঈম জুনি. ৪-০-৩০-০, মুক্তার ৯-০-৪৮-০)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৮.৪ ওভারে ৩০২/৭ (মুনিম ১০, পারভেজ ৬৬, সাব্বির ৩৪, ইরফান ৫৩, চিরাগ ৯৪, মাশরাফি ০, তানবির ১৩, সোহাগ ১৩, মুক্তার ০; সজিব ১০-০-৭২-০, সঞ্জিত ১০-১-৫১-১, গালিব ৮.৪-০-৬০-০, সাব্বির ৮-০-৪১-৩, আনিসুল ২-০-১৬-০, রাহাতুল ১০-০-৬০-৩)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: চিরাগ জানি
Discussion about this post