ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
গত কয়েকদিন ধরেই ভারত সফরের অনুশীলন ক্যাম্পে দেখা যাচ্ছে না তাকে। অনেকেই বলছিলেন গ্রামীণফোনের সঙ্গে করা চুক্তির কারণে বোর্ডের কাছ থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়ে ক্ষুব্ধ সাকিব ভারত সফরে যেতে চাইছেন না। এনিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) সরাসরি কিছুই বলছিল না।
সাকিব ইস্যুতে সোমবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বোর্ডে ছিলেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ড পরিচালক, কোচিং স্টাফ ও ক’জন ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখন শোনা যায় ভারত সফরে যেতে সাকিবকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে।
কিন্তু রাত গভীর হতেই জানা যায় ভিন্ন তথ্য। মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকেই সাকিব ভারত সফরে যাবেন কি যাবে না- সেটা বড় নয়, সাকিব আদৌ যেতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন সামনে আসে।
সাকিব আসলে ভারতে যেতে পারবেন না! আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থার রায়ে ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশাল-বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও নিশ্চুপ থাকা। তবে জুয়াড়ির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শাস্তি ৬ মাসও হতে পারে সাকিবের।
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট জানাচ্ছে- বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। তারপর আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা- আকসুকে অবহিত করতে হবে। খবর নিজে লুকিয়ে রাখলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। সাকিব কাউকেই জানাননি।
বলা হচ্ছে, দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে এক ক্রিকেট জুয়াড়ির (বুকি) কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সেটি তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে না জানিয়ে গোপন করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিষয়টি পরে আইসিসি জানতে পারে। আন্তর্জাতিক জুয়াড়িদের কল রেকর্ড ট্র্যাকিং করে এ ব্যাপারে তারা তথ্য উদ্ধার করে। ওই জুয়াড়ি আইসিসির কালো তালিকায় থাকাদের একজন। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর সম্প্রতি সাকিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) প্রতিনিধি।
এ অবস্থায় ভারত সফরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না সাকিবের। নতুন অধিনায়ক নিয়েই সফরে যেতে হচ্ছে টাইগারদের।
Discussion about this post