এশিয়া কাপ ক্রিকেটে আফগানিস্তানের কাছে হারটা যে নিছকই অঘটন ছিল সেটা রোববার বুঝিয়ে দিল বাংলাদেশ। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মুল পর্বে উঠার মিশনে টাইগারদের সামনে রীতিমতো বিধ্বস্ত আফগানরা। সোজা বাংলায় বলতে হয়-মুশফিকরা ক্রিকেট শেখালেন তাদের।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানকে মাত্র ৭২ রানে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশ। এরপর ১ উইকেট হারিয়ে হেসে-খেলে সেই সংগ্রহ টপকে গেছে টাইগাররা।
৯ উইকেটের এই জয় বিশ্বকাপের মুল পর্বে উঠার পথটা প্রস্বস্ত করে দিল।
ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। আর ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি ফেরান মোহাম্মদ শাহজাদকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে সফরকারী দল। আফগানিস্তানের তিনজন ব্যাটসম্যান পৌঁছেছেন দুই অংকের স্কোরে। গুলবুদ্দিন নাইব করেন ২১। আর বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৩.১ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আব্দুর রাজ্জাক নেন ২ উইকেট।
শেষপর্যন্ত আফগানরা ১৭.১ ওভারে ৭২ রান তুলে অলআউট হয়ে যায়। পরে অনায়াসে জয়ের বন্দরে পৌছে গেছে দল। জিততে দল খেলে মাত্র ১২ ওভার। ৮ ওভার হাতে রেখেই জয়! তামিম ইকবাল ২১ রানে ফিরে যান। এনামুল হক ৩৩ বলে করেন অপরাজিত ৪৪ রান। সাকিব করেন ১২ বলে ১০।
এমন ম্যাচ জয়ের পর সাকিব জানালেন, ‘আগেই বলছি, আমরা ছন্দে থাকলে আফগানিস্তান দাঁড়ানোর মতো দল নয়। সত্যি বলতে কী আমাদের কাছে মনে হয় আমরা পুরো দলই জানতাম, এই ম্যাচ জিতছি আর সেটা অনায়াসেই।’ একইসঙ্গে ম্যাচসেরা এই তারকা জানালেন, ‘এই জয় স্বস্তির। আমরা চাপ মুক্ত হলাম। এখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
বিশ্বকাপের মূল পর্ব মানে ‘সুপার টেন’-এ উঠতে হলে প্রথম পর্বে গ্রুপ সেরা হতে হবে বাংলাদেশকে। গ্রুপে মুশফিকদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ নেপাল ও হংকং।
বাংলাদেশের একাদশ- মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, ফরহাদ হোসেন, আল-আমিন হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান: ১৭.১ ওভারে ৭২/১০ (নাইব ২১, শফিকুল্লাহ ১৬; সাকিব ৩/৮, রাজ্জাক ২/২০, ফরহাদ ১/২, মাহমুদুল্লাহ ১/৮, মাশরাফি ১/৮)
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৭৮/১ (তামিম ২১, এনামুল ৪৪*, সাকিব ১০*; সামিউল্লাহ ১/১৪)
ফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাকিব আল হাসান
Discussion about this post