ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সব তারকা ক্রিকেটারই হাজির। আছেন ঘরোয়া ক্রিকেট মাতানো ক্রিকেটাররাও। কিন্তু দেখা নেই একজনের। যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরাদের একজন। যিনি অভিভাবকের মতো আগলে রাখছেন সমবয়সী আর অনুজদের। সেই মাশরাফি বিন মতুর্জাকে না দেখে বিস্মিত ছিলেন অনেকেই। মিরপুরের শেরেবাংলায়। সোমবার ওয়ানডে অধিনায়ককে ছাড়াই ধর্মঘটে গেলেন সাকিব আল হাসানরা।
মোট ১১ দাবি উত্থাপন করেছেন সাকিব-মুশফিকরা। দেশের শীর্ষ পর্যায়ে খেলা ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন-এসব দাবি পূরণের নিশ্চয়তা না পেলে জাতীয় দল এবং প্রথম শ্রেণীর সব ক্রিকেটাররা কোন ধরনের ক্রিকেটে অংশ নেবেন না।
সোমবার দুপুরে মিরপুর একাডেমি মাঠে ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবি ঘোষণার সময় মাশরাফির অনুপস্থিতি জন্ম দেয় নানা প্রশ্নের। প্রশ্ন ছিল তাহলে মাশরাফি কোথায়? ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য কি একমত নন এই দাবির সঙ্গে? সোমবার রাত সাড়ে ১১টার একটু পর নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন মাশরাফি।
ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে মাশরাফির যা লিখেছেন তা তুলে ধরা হলো ক্রিকবিডি২৪-এর পাঠকদের জন্য-
‘অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে, দেশের ক্রিকেটের এমন একটি দিনে আমি কেন উপস্থিত ছিলাম না। আমার মনে হয়, প্রশ্নটি আমাকে না করে, ওদেরকে করাই শ্রেয়। এই উদ্যোগ সম্পর্কে আমি একদমই অবগত ছিলাম না। নিশ্চয়ই বেশ কিছু দিন ধরেই এটি নিয়ে ওদের আলোচনা ছিল, প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। সংবাদ সম্মেলন দেখে আমি ওদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
ক্রিকেটারদের নানা দাবির সঙ্গে আমি আগেও একাত্ম ছিলাম, এখনও আছি। আজকের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারলে অবশ্যই আমি থাকতাম।
মিডিয়ায় ওদের খবর দেখার পর থেকে হাজারবার আমার মাথায় এই প্রশ্ন এসেছে, যে কেন আমাকে জানানো হলো না। অনেকে আমার কাছে জানতেও চেয়েছেন। কিন্তু আমি নিজেও জানি না, কেন জানানো হয়নি।
তবে আমার ঊপস্থিত থাকা কিংবা না থাকার চেয়ে, ১১ দফা দাবি বাস্তবায়িত হওয়াই বড় কথা। সবকটি দাবিই ন্যায্য, ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের মঙ্গলের জন্য জরুরী। আমি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ১১ দফা দাবি শান্তিপুর্ন ভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার পক্ষে আছি, থাকব।’
সাকিবদের দাবির মধ্যে রয়েছে চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের সংখ্যা বাড়ানো। খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি, বিসিবির গ্রাউন্সম্যান থেকে শুরু করে অন্যান্য বেতনভুক্ত কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি। ১১ দফা দাবিতে আরও আছে ঘরোয়া ক্রিকেট বিশেষ করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম ও দুর্নীতির অবসান। ঘরোয়া ক্রিকেটের টুর্নামেন্টের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়।
Discussion about this post