নতুন আরেক মিশন-বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। অ্যান্টিগায় বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু মাঠের লড়াই। উইন্ডিজ সফর মানেই অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা। সেই ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দ্বিতীয় সারির দলকে দুই টেস্টে হারায় বাংলাদেশ দল। কিন্তু তারপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সফরে চার টেস্টে বড় হার দেখেছে টাইগাররা।
সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কী এবার হারানো সম্ভব? যখন নেতৃত্বে ফিরলেন সাকিব আল হাসান তখন তো আশা করাই যায়। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইমরুল কায়েস কথা বললেন এনিয়ে। থাকলে তার ক্যারিয়ার প্রসঙ্গও। সেই আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
জাতীয় দলকে কী মিস করেন….
জাতীয় দল অনেক অনেক মিস করি। প্রায় দু’তিন বছর হয়েছে জাতীয় দলে খেলিনি, তিন বছর অলমোস্ট। যখন খেলা হয়, তখন দেখার সময় অবশ্যই মিস করি। নিজে ফেরার ইচ্ছে আছে বলেই তো বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পে জয়েন করেছি। না হলে তো বাসায় থাকতাম, বা অন্য জায়গায় চলে যেতাম। এখনো সে ইচ্ছাটা আছে বলেই চেষ্টাটা করে যাচ্ছি।
উইন্ডিজ সফরে এবার কেমন করবে দল….
দেখুন আমার কাছে মনে হয় যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সবশেষ সফরটা আমরা ভালো খেলি নাই। কিন্তু এ বছর যারা আছে এবং আমাদের পেস আক্রমণ এবং স্পিন আক্রমণ মিলিয়ে ভালো একটা দল গেছে। আমি আশাবাদী আমরা যেন ম্যাচটা না হারি, আমরা যেন অন্তত জিততে না পারলেও ম্যাচটা যেন ড্র করতে পারি। আমি আশা করি ভালো কিছু হবে ইনশাল্লাহ।
নেতৃত্বে ফিরলেন সাকিব। কেমন হতে পারে তার প্রত্যাবর্তন?
সাকিব আল হাসানকে আমার থেকে ভালো আপনারা চেনেন। সাকিব আল হাসান কেমন খেলোয়াড়। সে কেমন ধরনের অধিনায়ক। আমি সব সময় বলি ও মাঠে অনেক প্রো এক্টিভ ক্যাপ্টেন এবং ও যদি মাঠে থাকে অন্যান্য যারা তরুণ খেলোয়াড় থাকে ওদের জন্য আরও বেশি অনুপ্রেরণা হয় এবং সাকিবকে যদি আমরা সব সময় মাঠে পাই, আমি অবশ্যই বলব বাংলাদেশ দলের জন্য এটা অনেক ভালো একটা দিক এবং ভালো হবে। আমি আশা করি এই সিরিজ থেকে সেটা শুরু হবে।
ব্যাটসম্যানদের জন্য সফরটা বড় চ্যালেঞ্জ…
চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই। ব্যাটারদের রান করতে হবে, বোলারদের উইকেট নিতে হবে, ২০টা উইকেট নিতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে ওখানে পেস বোলার যারা আছে উইন্ডিজের ওরা হচ্ছে একুরেসি মেন্টেন করে বোলিং করে, প্লান ওয়াইজ বোলিং করে। আমাদের টপ অর্ডাররা যদি ভালো একটা শুরু দিতে পারে তাহলে মিডল অর্ডারে জন্য কাজটা সহজ হবে এবং ভালো একটা রান হবে। অন্যথায় কঠিন। আপনি যদি টপ অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়, তাহলে মিডল অর্ডারের ব্যাটারের জন্য কাজটা করা অনেক কঠিন। এটা ডিউক বল, বল যত পুরান হয় তত সুইং করতে থাকে। তো ওদিক থেকে বলবো যে অবশ্য এটা টপ অর্ডার ব্যাটাররা যেন বড় বড় ইনিংসে এগিয়ে নেয়।
প্রসঙ্গ মুমিনুল হকের অফফর্ম…
ভাই আমরা কিন্তু এক সিরিজ আগেও মুশফিককে নিয়ে এরকম কথা বলেছি। কিন্তু মুশফিক কিন্তু প্রমাণ করে দিছে। আমার কাছে মনে হয় ধৈর্য হারানোর কিছু নাই। মুমিনুল বাংলাদেশের বর্তমানে এখনো ১১টা সেঞ্চুরির মালিক। মুমিনুল জানে কিভাবে রান করতে হয় এবং সে ১১টা সেঞ্চুরি করেই বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার, আমি মনে করি। আপনারা একটু ওকে ভরসা দেন, আমার মনে হয় ও কামব্যাক করবে। শক্তভাবে ফিরে আসবে আমার বিশ্বাস।
সে তো এখন ব্যাটিংয়ে আরও বেশি ফোকাস করবে। বেশি ফোকাস থাকবে, আরও বেশি নির্ভর থাকবে ব্যাটিং নিয়ে। তার নিজের কাজটা সে ঠিকভাবে করতে পারবে। অধিনায়ক থাকলে যেটা হয় পুরো দলকে নিয়ে পরিকল্পনা করা লাগে। অনেক পরিকল্পনা থাকতে হবে। এ জিনিসটা তো তার থেকে সরে গেছে এখন সে ফোকাস থাকবে তার ব্যাটিংয়ে।
সাকিব বল হাতে কেমন করতে পারে?
সাকিব যদি ৫ এবং ৫ মোট দশ উইকেট নিয়ে নেয় তাহলে তো আর কঠিন না। কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। তাইজুল আছে বা যারাই আছে না কেন সবাই অনেক সামর্থ্যবান দশ উইকেট করে নেওয়ার। আমার কাছে মনে হয় এক্সসাইটিং একটা টেস্ট ম্যাচ হবে।
Discussion about this post