টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ঝড়-বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠানোর লড়াই। কিন্তু স্রেফ ছক্কা মেরে নয়, নিজের মানসিক দৃঢ়তা আর দলের প্রয়োজনে ঝুঁকি নিতে জানার সাহসেই আলাদা হয়ে উঠছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যখন বাংলাদেশের স্কোর ১২তম ওভারে ছিল মাত্র ৭৭/৪, তখন হাল ধরতে নেমেছিলেন শামীম। ব্যাটিং পজিশনে একধাপ এগিয়ে ছয় নম্বরে এসেই খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস-২৭ বলে ৪৮ রান, ৫টি চার ও ২টি বিশাল ছক্কা।
শামীম বলেন, ‘কারও না কারও তো ঝুঁকি নিতেই হবে। “দলের স্বার্থে নিজ থেকেই সেই দায়িত্বটা নিয়ে নিই। ইতিবাচক থাকা আমার মূল পরিকল্পনা।’
এই মানসিকতা শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, প্রতিফলন ঘটেছে ব্যাটেও। অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে তাঁর ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটিই বাংলাদেশের ইনিংসকে এনে দেয় গতি। শেষ পর্যন্ত দল তোলে ১৭৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ-আর জিতে নেয় ম্যাচটি ৮৩ রানে।
শুধু ফল নয়, শট নির্বাচনেও ছিল মুন্সিয়ানা। কখনও কাভারের ওপর দিয়ে, কখনও ফাইন লেগের ওপরে, কখনও পয়েন্ট দিয়ে-উইকেটের চারপাশে ছড়িয়ে দিয়েছেন শট। এমন ব্যাটিং দেখে বারবার মনে পড়ে এবি ডি ভিলিয়ার্সের কথা। শামীম বলেন, ‘এবিডির ব্যাটিং সব সময়ই পছন্দ করি। সব সময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। টি-টোয়েন্টিতে সেটাই সবচেয়ে জরুরি।’
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হারের হতাশা যখন মাথার ওপর, তখন এই জয় এনে দিয়েছে স্বস্তি। সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। ‘সিরিজ জেতার সুযোগ এখনো আছে। আমরা ভালো খেলতে পারলে, ইনশা আল্লাহ জিততে পারব।” যোগ করলেন শামীম।’ বুধবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে দুই দল।
Discussion about this post