আগের দিনই প্রায় নিশ্চিত হয়েছিল, হারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনে সেই দৃশ্যটাই দেখা গেল প্রথম সেশনে। পঞ্চম দিনে পাকিস্তানের জিতল ৮ উইকেটে। ২০২ রানের লক্ষ্যে নেমে শেষ দিনে মঙ্গলবার পাকিস্তানের দরকার ছিল ৯৩ রান। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে সকালেই সফরকারীরা পা রাখে জয়ের বন্দরে।
তার পথ ধরে দুই ম্যাচ সিরিজে তারা এগিয়ে গেল ১-০তে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে পথচলা শুরু হলো হার দিয়ে বাংলাদেশের। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষদিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১০ উইকেট। কিন্তু প্রাপ্তি শুধু পাকিস্তানের দুই ওপেনারের উইকেট। শতরানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এ দিন খুব বড় হতে পারেনি। দুই ওপেনারের পেলেন না শতকও।
আবিদ আলি নার্ভাস ৯১ রানে আউট। অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিকও পারলেন না। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান আবিদকে দ্বিতীয় ইনিংসে থামান তাইজুল ইসলাম। এলবিডব্লিউ ৯১ রানে।
এ অবস্থায় ঢাকায় তাকিয়ে ভক্তরা। দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে শনিবার থেকে শুরু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। টি-টুয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশের পর এবার টেস্টেও তেমন কিছু কি অপেক্ষা করছে?
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০/১০ (মুশফিক ৯১, লিটন ১১৪, ইয়াসির ৪, মিরাজ ৩৮, তাইজুল ১১, আবু জায়েদ ৮, ইবাদত ০; আফ্রিদি ২৭-৮-৭০-২, হাসান ২০.৪-৫-৫১-৫, ফাহিম ১৪-২-৫৪-২, সাজিদ ২৭-৫-৭৯-১, নুমান ২৬-৬-৬২-০)।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১১৫.৪ ওভারে ২৮৬/১০ (আবিদ ১৩৩, শফিক ৫২, আজহার ০, বাবর ১০, ফাওয়াদ ৮, রিজওয়ান ৫, ফাহিম ৩৮, হাসান ১২, সাজিদ ৫, নুমান ৮, আফ্রিদি ১৩*; আবু জায়েদ ১২-০-৪১-০, ইবাদত ৪৪.৪-৯-১১৬-৭, তাইজুল ১৯-৫-৩৯-০, মিরাজ ৩০-৭-৬৮-১, মুমিনুল ৩-০-১২-০)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৩৯/৪) ৫৬.২ ওভারে ১৫৭/১০ ( মুশফিক ১৬, ইয়াসির আহত অবসর ৩৬, লিটন ৫৯, মিরাজ ১১, সোহান ১৫, তাইজুল ০, আবু জায়েদ ০, ইবাদত*; আফ্রিদি ১৫-৮-৩২-৫, হাসান ১১-০-৫২-২, ফাহিম ৮-৩-১৬-০, নুমান ৯-৩-২৩-০, সাজিদ ১৩.২-১-৩৩-৩)।
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২০২, আগের দিন ১০৯/০) ৫৮.৩ ওভারে ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭২, আজহার ২৪*, বাবর ১৩*; তাইজুল ২৮-৪-৮৯-১, ইবাদত ৮-২-৩০-০, মিরাজ ১৮.৩-৪-৫৯-১, আবু জায়েদ ৪-০-২৩-০)।
ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ১-০তে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: আবিদ আলি।
Discussion about this post