ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশ ০ : নেপাল ২
এমন বিদায়ের কোন অজুহাত নেই। সবার আগেই সেমিফাইনালে পা রাখতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। টানা দুই জয়। শেষ চারে এক পা দিয়েই রেখেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ ম্যাচে শনিবার নেপালের সঙ্গে ড্র করলেই দল উঠে যেতো সেমিতে। কিন্তু কিসের কী। ০-২ গোলে হেরে বসে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ‘এ’-গ্রুপ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে নেপালও উঠে গেল শেষ চারে।
সাফের গত তিন আসরের মতো এবারও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এই হারের জন্য অনেকটাই দায়ী বাংলাদেশের গোলকিপার গোলকিপার শহিুল আলম সোহেল। ম্যাচের ৩৪ মিনিটের সময় তার ভুলেই গোল হজম করে দল। গোলপোস্টের প্রায় ৩৫ গজ দুর থেকে ফ্রিকিক পায় নেপাল। স্ট্রাইকার বিমল গার্তি মাগার শট নিয়েছিলেন। সেই শট তেম জোরালো ছিল না। যা সোজা শহিদুলের মাথার উপরে। কিন্তু সহজ সেই বলটাও গ্লাভসে জমাতে পারেন নি তিনি। তার হাত গলে বল জালে!
এই গোলেই সর্বনাশ। শেষে অবশ্য আরেকটি গোল হজম করেছে দল। গোল করেন নবযুগ শ্রেষ্ঠা। স্বাগতিকদের দর্শক বানিয়ে সেমিতে উঠে গেল নেপাল।
সাফ সুজুকি কাপে রচিত হল দুঃস্বপ্নের অধ্যায়। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়েও শেষ রক্ষা হল না। এই দুঃখ ভুলতে অনেক দিন লাগবে ফুটবল ভক্তদের।
১৩ বছর পর পাকিস্তান
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠেই বাজিমাত পাকিস্তানের। প্রায় চার বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছে তারা। এবার শুরুতেই উঠে গেছে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে। শনিবার গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে ১৩ বছর পর এই টুর্নামেন্টের শেষ চারে উঠেছে পাকিস্তান।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে পাকিস্তান জিতে অনায়াসে ৩-০ গোলে। তিন ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬। গোল ব্যবধান ৩। তারই পথ ধরে গ্রুপে সবার আগে উঠে যায় সেমিতে।দলের পক্ষে গোল তিনটি করেন মোহাম্মদ রিয়াজ, হাসান বশির ও ফাহিদ আহমেদ।
Discussion about this post