মাঠ-এক টুকরো সবুজ স্বপ্নের নাম। খেলোয়াড়দের ঘাম, দর্শকদের হৃদস্পন্দন আর দেশের মর্যাদা-সবকিছুরই কেন্দ্রবিন্দু এই ২২ গজ। কিন্তু সেই মাঠই যখন প্রশ্নের মুখে, তখন সংশয়ে কাঁপে পুরো ক্রিকেট কাঠামো।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট যেন সেই সংশয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এক সময় যেখানে দেশের ক্রিকেটের হৃদস্পন্দন স্পষ্ট ছিল, সেখানে এখন ঘরোয়া ম্যাচ তো দূরের কথা, আন্তর্জাতিক আয়োজনের আগেই তৈরি হয় আতঙ্ক।
বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম আর অপেক্ষা করেননি। শোকজ করা হয়েছে কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে। মাঠ ও উইকেটের অবস্থা নিয়ে বিসিবির অসন্তোষ এতটাই তীব্র যে, ১৫ দিনের মধ্যে সংস্কারের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কাজের গতি দেখে বোর্ড কর্মকর্তাদের কপালে স্পষ্ট চিন্তার রেখা। এই সময়ের মধ্যে মূল ও একাডেমি মাঠের সংস্কার শেষ করা প্রায় অসম্ভব বলেই বিশ্বাস বিসিবির অভ্যন্তরে। এমন অস্বস্তিকর প্রেক্ষাপটে বিসিবি আবারও ফিরিয়ে আনছে অস্ট্রেলিয়ার কিউরেটর টনি হেমিংকে। তবে এবার তিনি আসছেন আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে-‘হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট’ হিসেবে।
সরাসরি কোনো একটি মাঠ নয়, বরং সারাদেশের মাঠ ব্যবস্থাপনার নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। জানা গেছে, হেমিং ইতোমধ্যেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন অথবা খুব শিগগিরই পৌঁছবেন।
টনি হেমিং নতুন কেউ নন বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য। অতীতেও তার কাজ পেয়েছিল প্রশংসা। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ছিলেন পাকিস্তানে দায়িত্বে। সেখান থেকে এবার ফেরার খবর যেন কিছুটা আশ্বাস এনে দিয়েছে বিসিবির কিউরেটরদের মাঝে।
সেই টবিই মাসখানেক আগে বাংলাদেশে এসে মাঠ প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তাই এবার প্রত্যক্ষভাবে টনির অধীনে কাজ করা মানেই মাঠ ব্যবস্থাপনায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
তবে টনি হেমিংয়ের আগমনের অর্থ এই নয় যে গামিনি ডি সিলভার সময় শেষ। বরং বোর্ড তাঁর সঙ্গে এক বছরের মেয়াদ বাড়িয়েছে। এখন ভাবা হচ্ছে, তাঁকে হয়তো ঢাকার বাইরের মাঠগুলোতে কাজে লাগানো হবে।
Discussion about this post