ব্যাটসম্যানদের ব্যাট হাতে কিছু একটা করতে হবে- সেটাই যেন ভুলে গিয়েছিলেন তারা। উইকেটে আসা আর যাওয়ার দায় টুকু সারলেন খুলনা টাইটানসের ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ডে ডুবল দলটি।
মিরপুরের শেরবাংলায় বৃহস্পতিবার রাতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১০.৪ ওভারে ৪৪ রানে অলআউট খুলনা। যা কীনা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বনিম্ম রান। গত বিপিএলে সিলেট সুপারস্টার্সের বিপক্ষে বরিশাল বুলসের ৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল।
টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে সব মিলিয়ে অবশ্য এটা লজ্জার রেকর্ড নয়। ২০০৯ সালে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ঝাড়খন্ডের বিপক্ষে ত্রিপুরা মাত্র ৩০ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল।
৪৫ রানের সেই লক্ষ্যটা চট জলদি পূরন করে রংপুর। এটি তাদের টানা দ্বিতীয় জয়। ১২ ওভার হাতে রেখে তারা জিতে ৯ উইকেটে।
এদিন বিপিএলে সবচেয়ে কম বল খেলেও অলআউটের বিব্রতকর রেকর্ডও গড়ল খুলনা। সিলেট সুপারস্টার্স গতবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১১.৫ ওভারে অলআউট হয়েছিল।
ম্যাচে ১২ রানে ৪ উইকেট নেন শহিদ আফ্রিদি। যদিও আরাফাত সানি জন্ম দিয়েছেন রেকর্ডের। নতুন অ্যাকশনে ফিরে এই স্পিনার ২.৪ ওভার বল করে কোনো রান না দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
দ্বিতীয় বোলার হিসেবে স্বীকৃত টি-টুয়েন্টিতে কোনো রান না দিয়েই তিন উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়লেন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে বার্ঘার রিক্রিয়েশান ক্লাবের বিপক্ষে কোনো রান না দিয়ে ৩ উইকেট নেন চিলো মারিয়ানস ক্রিকেট ক্লাবের দিনুকা হেত্তিয়ারাচ্চি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খুলনা টাইটানস: ১০.৪ ওভারে ৪৪/১০ (মজিদ ৬, পুরান ০, ওয়েসেলস ৫, মাহমুদউল্লাহ ২, শুভাগত ১২, কাপালী ০, আরিফুল ৭, নূর আলম ৮, জুনায়েদ ০, আসগর ০, শফিউল ০; সোহাগ ১/৬, সানি ৩/০, গ্লিসন ১/১৪, আফ্রিদি ৪/১২)
রংপুর রাইডার্স: ৮ ওভারে ৪৫/১ (শাহজাদ ১৩, সৌম্য ১৩*, মিঠুন ১৫*; জুনায়েদ ১/১৪)
ফল: রংপুর রাইডার্স ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: শহীদ আফ্রিদি
Discussion about this post