সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হার, এরপর পাকিস্তানে গিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ-টানা দুটি সিরিজ হারে চরম হতাশার মধ্যে পড়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। প্রস্তুতির নামে শুরু হওয়া এই সফর শেষ হয়েছে আত্মবিশ্বাসের চরম পতন দিয়ে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে হার-একে তো হারের ধাক্কা, তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পর আরেক সহযোগী দেশের কাছেও সিরিজ হার। এরপর পাকিস্তানে গিয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দল। ব্যাটিং ব্যর্থতা, বোলিংয়ে ধারহীনতা-সব মিলিয়ে একরাশ হতাশা নিয়েই দেশে ফিরেছেন লিটন-তামিমরা।
এ অবস্থায় ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার মতে, ‘মানসিকভাবে দল ভেঙে পড়েছে। ফ্ল্যাট উইকেট, ঘাস, স্কিডি বল-পাকিস্তানের কন্ডিশনে টেকনিক্যালি দক্ষ ব্যাটার দরকার ছিল। শান্তর মতো কেউ সুযোগ পেলে ভিন্ন কিছু হতে পারত। কিন্তু পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসেনি, বরং আত্মবিশ্বাস আরও কমে গেছে।’
এই সংকট কাটাতে তিনি মনোবিদ নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আলাদা সেশন করানো জরুরি। কী কারণে এত খারাপ পারফর্ম করছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে।’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনও হতাশ। তিনি বলেন, ‘আমিরাতের সঙ্গে ৩-০ জেতা উচিত ছিল। কিন্তু সেখানে হার আর পাকিস্তানের মাটিতে খারাপ খেলা—সবই হতাশার। বোলিংয়েও ঘাটতি ছিল। মুস্তাফিজ ও তাসকিন না থাকলে আমাদের আক্রমণ দুর্বল হয়ে পড়ে। একজন বাঁহাতি স্পিনারের অভাবও স্পষ্ট।’
শেষ ম্যাচে পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদের শতরানের জুটি একসময় আশার আলো দেখালেও মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে আবারও হার মানে বাংলাদেশ। ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দুই সাবেক তারকার চোখে উঠে এসেছে মানসিক দুর্বলতা, ভুল দল নির্বাচন ও পরিকল্পনার ঘাটতি।
এখন টাইগারদের সামনে শ্রীলঙ্কা সফর। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ১৩ জুন দ্বীপদেশটির উদ্দেশে রওনা হবে দল। এর আগে মিরপুরে তিনদিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করার কথা রয়েছে। টানা দুই সিরিজে ব্যর্থতার পর এই সফরেই নিজেদের প্রমাণ করার শেষ সুযোগ দেখছেন অনেকে।
Discussion about this post