ঠিক তাই, এমন দিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য স্বপ্নেরই। এমন সোনায় মোড়ানো দিন এসেছে কমই। তবে শেষ বিকালটা আক্ষেপেই কাটল। শুরুতে বৃষ্টি। এরপর আলোর স্বল্পতা। দুইয়ে মিলে কেলা হলআ ৬৫ ওভার। অথচ নির্ধারিত ছিল ৯০ ওভার নির্ধারিত। সব মিলিয়ে পালেকেল্লে স্টেডিয়ামে দাপট বাংলাদেশেরই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ১ম ইনিংসে সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান।
৪৩ রান নিয়ে মুশফিক ও ২৫ রানে অপরাজিত লিটন দাস। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার সময় ক্যান্ডির আকাশ জমে মেঘ। এ কারণে আলোর স্বল্পতা দেখা দিলে তৃতীয় সেশনের দশম ওভারের পর খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
দিনটা মনে রাখার মতো করে তুলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। শান্ত আগের দিনই করেছিলেন শতরান। এদিন পেলেন পেলেন দেড়শ ছাড়ানো স্কোর। আর মুমিনুল তুলে নিলেন দেশের বাইরে তার প্রথম সেঞ্চুরি। ১০৭ বলে ৪৩ রান করে মুশফিক ও ৩৯ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত লিটন দাস। সব মিলিয়ে ড্রাইভিং সিটে টাইগাররা।
৬৪ রানে অপরাজিত থেকে বৃহস্পতিবার দিনে শুরু করেন মুমিনুল। সঙ্গে শান্ত তো আগের দিনই তুলেছিলেন তার প্রথম শতরান। তাদের ব্যাটিংয়েই ছন্দে উড়ে বাংলাদেশ। এর আগে ১০ টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মমিনুলের। দেশের বাইরে একটিও নয়। এদিন ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বাউন্ডারিতে ৯৭ থেকে পৌঁছান তিন অঙ্কে। হাফ সেঞ্চুরি পান ১১৭ বলে।শতক করতে খেলেন আরও ১০৭ বল।
অন্যদিকে শান্তর প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি শেষ হয় ১৬৩ রানে। ১৭ চার ও ১ ছক্কায় দেখার মতো ইনিংস! আর ১৯ রান করলে দেশের হয়ে অভিষেক সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে পারতেন এই বাঁহাতি। এটি মুমিনুলের দখলে। ২০১৩ সালে তিনি নিজের অভিষেক সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ১৮১।
শান্তর চলে গেলে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে ২৪২ রানের জুটি। যা দেশের টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় উইকেট জুটিতে রেকর্ড রান। যে কোনও উইকেটে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি। বলের হিসেবে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। শান্ত ও মুমিনুলের ২৪২ রান তুলেন ৫১৭ বলে। ২০১৩ সালে গলে লঙ্কানদের বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকের ২৬৭ রান হয় ৫১৮ বলে।
বৃহস্পতিবার মুমিনুল থামেন ১২৭ রানে। অধিনায়ক ৩০৪ বলে ১১ বাউন্ডারিতে খেলেন এই ইনিংস। শেষ সেশনে হাল ধরেন মুশফিক ও লিটন। ৯১ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে দাপটে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ!
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৪৭৪/৪ (১৫৫ ওভার) শান্ত ১৬৩, মুমিনুল ১২৭, তামিম ৯০, মুশফিক ৪৩*, লিটন ২৫* বিশ্ব ৭৫/২, কুমারা ৮৮/১ (দ্বিতীয় দিন শেষে)।
Discussion about this post