মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের মিলনমেলা বসল আজ। সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা একত্রিত হয়ে মেতে উঠেছেন আড্ডায়। এই মিলনমেলার উপলক্ষ্য ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচন।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও ভোট দিতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। তারকা খ্যাতি ও আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে সম্ভাব্য অংশগ্রহণের কারণে তার প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। যদিও তামিম শেষ পর্যন্ত কোয়াবের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন কেন আমি নির্বাচনে অংশ নিইনি।’
এবারের কোয়াব নির্বাচনে শুধু সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এবং বর্তমান ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুনের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। অন্য ১০টি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সাবেক সভাপতি নাঈমুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল পদত্যাগ করেন। এরপর সেলিম শাহেদের নেতৃত্বে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যাদের তত্ত্বাবধানে এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
নির্বাচনের পর তামিম মন্তব্য করেছেন, নতুন কমিটি কোয়াবের অপ্রকাশিত ত্রুটি দূর করে কার্যক্রম উন্নত করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া। নতুন কমিটির হাতে দুই বছরের সময় থাকবে, যা তারা সিস্টেম্যাটিকভাবে ব্যবহার করবে। এ পর্যন্ত যা দেখেছি, তা ইতিবাচক।’
প্রথমবারের মতো নির্বাচনের সরাসরি প্রক্রিয়া দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে তামিম বলেন, ‘অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে আজ আমার প্রথম দেখা। পুরো পরিবেশ যেন এক কার্নিভালের মতো। নতুন কমিটি প্রতিষ্ঠার পর গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিতে হবে তাদের।’
Discussion about this post