ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
কিছুতেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হচ্ছে না! বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডে সেই একইভাবে হারের বৃত্তে বন্ধী বাংলাদেশ। হ্যামিল্টন থেকে ওয়েলিংটন। বদলেছে মাঠ, বদলেছে উইকেট। কিন্তু বদলায়নি বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা। প্রথম টেস্টের মতোই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট টাইগাররা হেরেছে সেই ইনিংস ব্যবধানেই। প্রশ্ন উঠেছে সফরকারীদের ঘাটতি কি সামর্থ্যে? তাতে অবশ্য জোর আপত্তি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের বিশ্বাস, মাঠে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, বাংলাদেশ তার চেয়ে ভালো দল।
প্রথম টেস্টের চেয়ে দ্বিতীয় টেস্টে হারের ব্যবধান একটু কম। তবে আগের মতই বিব্রত বাংলাদেশ। কেননা বৃষ্টিতে ওয়েলিংটনে তো প্রথম দুই দিনে টসই হতে পারেনি। তারপর শেষ দিনের প্রথম সেশনে হার মানে দল। ফল হয়েছে ২০১.৫ ওভারে।
মঙ্গলবার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬৭) ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান লড়াই করতে পারেননি। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই আমরা খুবই হতাশ। আরও অনেক ভালো করা উচিত ছিল। আমরা এর চেয়ে ভালো দল। জানা ছিল, এই উইকেটে বোলারদের জন্য সহায়তা থাকবে। আমাদের উচিত ছিল আরও বেশি নিবেদন দেখানো। সামনের ম্যাচে এসবের সঙ্গে যতটা বেশি সম্ভব মানিয়ে নিতে হবে আমাদের।’
ওয়েলিংটন টেস্টে দুবার জীবন পেয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করেন রস টেলর। প্রথম ক্যাচটি ছেড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের ধারণা, ক্যাচ দুটির একটি নিতে পারলে বদলাতে পারত ম্যাচের চিত্র, ‘আমি ক্যাচ ছাড়লাম, এক বল পরই আরেকটা ক্যাচ পড়ল। ক্যাচগুলো নিতে পারলে হয়তো অন্যরকম কিছু হতে পারত। বোলাররা আরও আত্মবিশ্বাসী থাকত। ওই ভুলগুলি শোধরাতে হবে আমাদের।’
২০০১ সালে হ্যামিল্টনে খেলা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের ২ দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। কিন্তু সেই টেস্টেও হেরেছিল বাংলাদেশ। গতকাল সেই স্মৃতিই ওয়েলিংটনে ফিরে আসে। তাতে তো প্রশ্ন উঠতেই পারে- ১৭ বছরের আগের বাংলাদেশের সঙ্গে এখনকার বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
ক্রাইস্টচার্চে আগামী শনিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে খেলবে বাংলাদেশ। আগের মতোই এ ম্যাচে দেখা যাবে না সাকিব আল হাসানকে। চোট কাটিয়ে ফিরতে পারেন মুশফিকুর রহীম।
Discussion about this post