ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আমাদের যাপিত জীবনের সবকিছুই যেন পাল্টে দিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন আর আগের মতো স্বাভাবিক থাকার উপায় নেই। লম্বা একটা বিরতি শেষে অনুশীলনে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। এরমধ্যে অবশ্য দুঃসংবাদও মিলেছে। জাতীয় দলের ওপেনার সাইফ হাসানসহ এক ট্রেনার আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। সামনে টাইগারদের শ্রীলঙ্কা সফর। তার আগে করোনা যুদ্ধে ফের প্রস্তুত হচ্ছে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শ্রীলঙ্কা সফরের আগে চার দফা করোনা পরীক্ষার করাবে ক্রিকেটারদের। যার প্রথম দাপ এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। দল অনুশীলন শুরুর আগে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে গ্রিন জোন ও রেড জোনে ভাগ করেছে বিসিবি। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার গ্রিন জোন ও রেড জোনে ভাগ হয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা।
এর আগে গত সোমবার ১৭ ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষা করা হয়। যেখানে জানা যায় সাইফ হাসান করোনায় আক্রান্ত। তাকে ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন অংশ নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম আর তামিম ইকবালর।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে দুটি জোনে ভাগ করে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে বিসিবি। রেড জোনে মূলত তাদের রাখা হচ্ছে যাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। রোড জোনে থাকা ব্যক্তিদের গ্রিন জোনে যাওয়া পুরোপুরি নিষেধ।
গ্রিন জোনে ক্রিকেটার ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা থাকবেন। গ্রিন জোনের আওতায় থাকছে স্টেডিয়াম, ড্রেসিং রুম, ইনডোর ও জিমনেশিয়ামের মতো অবকাঠামো। গ্রিন জোনের কেউ রেড জোনে যেতে পারবেন না। তদারকির জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডও করে দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এনিয়ে বলছিলেন, ‘পুরো স্টেডিয়ামকে গ্রিন ও রেড জোনে ভাগ করেছি আমরা। গ্রিন জোন মানে যে জায়গাগুলোতে ক্রিকেটাররা চলাফেরা করবে। এই জোনে যেতে অবশ্যই গ্রিন কার্ডধারী হতে হবে। আবার যাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন নেই তারা রেড জোনে থাকবে।’
দল ঘোষণার পর ২০ সেপ্টেম্বর হোটেলে উঠবে টাইগার ক্রিকেটাররা। সপ্তাহ খানেক ঢাকায় অনুশীলন শেষে মুশফিক-মুমিনুলরা ২৭ সেপ্টেম্বর উড়াল দেবেন শ্রীলঙ্কায়। অক্টোবরের শেষে শুরু তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজ।
Discussion about this post