আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে আসলে কি জিততে চেয়েছিল ওল্ড ডিওএইচএস? বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নটাই এসেছে সামনে। কারণ লক্ষ্য তো আকাশ ছোঁয়া ছিল না। ১৯ ওভারে চাই ১৩৬। তার জবাবে নেমেই কীনা পুরো ওভার খেলে তারা উইকেট হারাল মাত্র ৩টি। আর করল ১১৩ রান! বিস্ময়কর তো বটেই।
বিজিত ওল্ড ডিওএইচএসের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠল খোদ গণমাধ্যমে। বিডিনিউজ২৪.কমের ম্যাচ রিপোর্টেও দেখা গেল তারই ছায়া। তারা প্রশ্ন রাখল-জয়ের তাড়না ডিওএইচএসের কতটা ছিল? এ কারণেই হারতে বসা ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল আবাহনী। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টিতে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে আবাহনী লিমিটেড জিতল ২২ রানে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টিতে ১৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন দারুণ ব্যাট করলেন। তারপরও প্রশ্ন উঠল ওল্ড ডিওএইচএসের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে। দাপুটে ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ২৭ বলে তুলেন ২০ রান। ওপেনার রাকিন আহমেদ প্রায় ১৫ ওভার উইকেটে থেকে আউট ৪৪ বলে ৪৩ রানে। প্রথম ৮ ওভারে আসে মাত্র ৩৬ রান!
আগের ম্যাচে ৭৮ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদুল হাসান জয়, এবার ২০ বলে ১৫। ৩ উইকেট হারিয়ে বলপ্রতি রানও তুলতে পারেনি তারা।
আবাহনীর সাইফউদ্দিন এদিন ক্যারিয়ার সেরা ৪০ রানের ইনিংস খেলেন ১৯ বলে। নাজমুল হোসেন শান্ত ১১ রানে আউট। মুশফিকুর রহিম ৬ রানে বোল্ড। মোসাদ্দেক হোসেনও দ্রুত ফিরলেন। তারপরও কম পুঁজি নিয়ে আবাহনী পেলো টানা দ্বিতীয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আবাহনী: ১৯ ওভারে ১৩৫/৬ (নাঈম ২৩, মুনিম ১৬, শান্ত ১১, মুশফিক ৬, আফিফ ২৭*, মোসাদ্দেক ৮, সাইফ উদ্দিন ৪০, শহিদুল ০*; মোহাইমিনুল ৪-০-২৫-২, রশিদ ৪-০-৩০-১, রকিবুল ৩-০-১০-২, পায়েল ২-০-২৮-০, মোহাম্মদ শান্ত ৪-০-১৫-০, রায়ান ১-০-৯-০, আনিসুল ১-০-১৮-১)।
ওল্ডডিওএইচএস: ১৯ ওভারে ১১৩/৩ (আনিসুল ২০, রাকিন ৪৩, মাহমুদুল ১৫, মোহাইমিনুল ১০*, রায়ান ১৯*; সাইফ উদ্দিন ৪-০-১৫-১, আরাফাত সানি ৪-০-১৩-১, তাইজুল ৪-০-২৯-০, মেহেদি রানা ৩-০-২০-০, শহিদুল ২-০-২৫-১, মোসাদ্দেক ২-০-১০-০)।
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে আবাহনী ২২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
Discussion about this post