ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইঙ্গিতটা সকাল থেকেই ছিল। সন্ধ্যা নামতেই জানা গেল দুঃসংবাদ। আন্তর্জাতিকসহ সব ধরণের ক্রিকেটে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসান। যার মধ্যে এক বছরের শাস্তি দোষ স্বীকার করায় স্থগিত থাকছে।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন করায় বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক এমন শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল।
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবের এই শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে। অপরাধ এবং শাস্তি দুটোই মেনে নেয়ায় শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে না এই টাইগার ক্রিকেটারের।
এই শাস্তিতে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারছেন না বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। আসছে বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপটাও মিস করবেন সাকিব।
আইসিসি জানিয়েছে সাকিব, প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে মুক্তি পাবেন। এর অর্থ আগামী বছরের ২৯ অক্টোবরের পর ফের মাঠে নামতে কোন বাধা থাকবে না সাকিবের।
আইসিসি মঙ্গলবার জানায়- ২০১৮ এর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের মধ্যে তিন বার সাকিবের কাছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান জুয়াড়িরা। প্রতিবারই আইসিসিকে কিছুই জানাননি তিনি। যা শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
সেই ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ চলাকালে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব।এরপর আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচের আগেও তাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। ত্রিদেশীয় সিরিজ অথবা আইপিএল নিয়েও প্রস্তাব পান তিনি। অবশ্য তিনি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি।
আইসিসির পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ আছে-অনৈতিক কিছুর প্রস্তাব পেলে যত দ্রুত সম্ভব আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। আর সেটা না জানালে শাস্তি সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
এ অবস্থায় সাকিবকে শাস্তি দিয়ে আইসিসির মহাব্যবস্থাপক (ইন্টেগ্রিটি) অ্যালেক্স মার্শাল জানান, ‘সাকিব খুবই অভিজ্ঞ একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ও আইসিসির অনেক শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে এবং ধারা অনুযায়ী বাধ্যবাধকতার ব্যাপারে অবগত আছে। ফিক্সিংয়ের প্রতিটি প্রস্তাবই তার জানানো উচিত ছিল। তবে সাকিব তার ভুল স্বীকার করেছে এবং তদন্তে পুরোপুরি সহায়তা করেছে। ইন্টেগ্রিটি ইউনিটকে ভবিষ্যত শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে সে, যাতে করে তরুণ ক্রিকেটাররা তার ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। আমরা তার এমন কথা খুশি।’
Discussion about this post