চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করার পর ২০২৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেন ফিল সিমন্স। প্রাথমিকভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকলেও, ব্যর্থতার পরও ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তার। তবে চুক্তি নবায়নের পরেও দলের পারফরম্যান্সে আশানুরূপ কোনো উন্নতি আসেনি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বাংলাদেশের প্রথম মিশন ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সেখানে প্রথম টেস্টেই নিজেদের ঘরের মাঠে হেরে বসে সিমন্সের শিষ্যরা। প্রতিপক্ষ যখন তুলনামূলক দুর্বল জিম্বাবুয়ে, তখন এমন হার স্বাভাবিকভাবেই কড়া সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সিরিজে টিকে থাকতে দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে বলব, ধৈর্য ধরুন। আমি জানি, এখানে ক্রিকেটের প্রতি আবেগ কতটা। তবে আমরা সঠিক পথে এগোনোর চেষ্টা করছি। একটু সময় চাই।’
দীর্ঘদিন ধরে দেশের ক্রিকেটারদের মানসিকতার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা শোনা যাচ্ছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে সেই মানসিকতা বদলের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান সিমন্স, ‘আমরা ইতিবাচক টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। শুধু ঠেকিয়ে ২০০ রান করার চিন্তা নেই। পরিবর্তনের জন্য সময় লাগবে।’
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের হারের প্রধান কারণ ব্যাটারদের ব্যর্থতা। শান্ত, মুমিনুল হক এবং জাকের আলি ছাড়া অন্য কেউই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। এজন্য ব্যাটারদের উন্নতির ওপর জোর দিয়ে সিমন্স বলেন, ‘কিছু বাজে শট, কিছু সফট ডিসমিসাল হয়েছে। সামনে এগোতে হলে এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। এক-দুই-তিন টেস্টেই সব বদলানো সম্ভব নয়।’
Discussion about this post