একটুর জন্য স্বপ্ন ভাঙ্গল।এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে খেলা হচ্ছে না লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। রোববার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ১ উইকেটের জয় শেষ করে দেয় লিজেন্ডসদের শেষ ছয়ের স্বপ্ন। লিগে দিনের অন্য ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৭ উইকেটে হারাল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আরেক ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতির বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।
ঢাকা লিগে গত মৌসুমে শেখ জামালকে পেছনে ফেলে রূপগঞ্জ উঠেছিল সুপার লিগে। কিন্তু এবার স্বপ্নভঙ্গ। আগেই লিগের সুপার সিক্সে উঠে গেল শেখ জামাল। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের দেওয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্যটা ২ বল আর ১ উইকেটে হাতে রেখেই টপকে যায় তারা।
৩৪১ রানের বিশাল লক্ষ্যকে সামনে রেখে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন শেখ জামালের দুই ওপেনার ফজল মাহমুদ ও প্রশান্ত চোপড়া। ৬.৩ ওভারে এ জুটি দলীয় স্কোর বোর্ডে ৫৮ রান যোগ করেন। এরপরই মোহামেডানকে জোড়া উইকেট এনে দেন তাইজুল ইসলাম। তার স্পিন ভেলকিতে ফজল (২৮) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (০) ফিরে যান সাজঘরে। তবে এক প্রান্ত আগলে অপর ওপেনার চোপড়া প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হন সোহাগ গাজীকে নিয়ে। তৃতীয় উইকেটে এ জুটি দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। ১১.৪ ওভারে এ জুটি করেন ৯৬ রান। ঠিক এ সময়ে চোপড়া ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছয়ে ৮৬ রান করে মোহাম্মদ আজমের বলে আসালঙ্কার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
চোপড়ার ফিরে যাওয়ার পর ২১ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট তুলে নেন মোহামেডানের বোলার। কিন্তু সোহাগ গাজী (৮৯) ও তানভির (৭৭) হয়ে ওঠেন প্রতিপক্ষের জন্য বিপদের কারণ। এ দুই ব্যাটসম্যান ষষ্ঠ উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়ে জামালকে জয়ের গন্ধ পাওয়ান। শেষ দিকে ইলিয়াস সানির সঙ্গে তানভিরের ৮৭ রানের জুটি ধানমন্ডির দলকে পৌঁছে দেয় জয়ের বন্দরে। সঙ্গে সঙ্গে রূপগঞ্জের স্বপ্ন ভেঙে সুপার লিগে জায়গা করে নিলো জামাল। গতকাল মোহামেডান হারলেও শেষ ছয়ে উঠা নিশ্চিত করেছে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সৈকত আলি ও সামসুর রহমানের ব্যাটে ৭৬ রানের ভালো শুরু পেয়েছিল মোহামেডান। কিছুক্ষণ পর সৈকত ৩৯ রানে ফিরলেও রনি তালুকদারকে নিয়ে জ্বলে ওঠেন শামসুর। ২৯.৩ ওভারে তারা গড়ে তোলেন ১৭৬ রানের জুটি। এরমধ্যে উভয় ব্যাটসম্যান পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত রনি ৯৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ১১০ রানে আউট হন। অন্য দিকে ১৫২ বলে ৭ চার ও ছয়ে ১৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন শামসুর। শেষ দিকে নাজমুল হোসেন মিলনের ৯ বলে ২১ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে মোহামেডান থামে ৩৩৯ রানে। তারপরও শেখ জামালের কাছে এ রান যথেষ্ঠ মনে হয়নি। যে কারণে ১ উইকেটে জিতে চলতি ডিপিএলের সুপার লিগে ওঠেছে দলটি।
এবারের লিগে দ্বিতীয় হারের স্বাধ পেল গাজী। গতকাল দলটির করা ২১৪ রানের স্কোরটা ৩.১ ওভার আগেই তিন উইকেট হারিয়ে টপকে যায় প্রাইমব্যাংক।
২৪ মে শুরু হবে সুপার লিগ।
Discussion about this post