ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট:
এমন দুঃস্বপ্নের দিন বাংলাদেশ ক্রিকেটে কমই এসেছে। আর টেস্ট ক্রিকেটে এতো কম রানে আউট তো এর আগে কখনোই হয়নি বাংলাদেশ। কে এমন হয়েছিল যে মাত্র ৪৩ রানেই শেষ হয়ে যাবে ইনিংস? নিজেদের ইতিহাসে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে সর্বনিম্ম ইনিংসের লজ্জায় এখন ডুবে আছে সাকিব আল হাসানের দল। বুধবারের সেই ঘটনা ভুলতে অনেক দিন লাগবে। যে উইকেট বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল বধ্যভূমি সেখানেই এখন অনায়াসে রান তুলছে ক্যারিবিয়রা।
অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে তুলেছে ২০১ রানে। তাদের লিগ ১৫৮ রান। দুর্দান্ত ব্যাট করলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। দিন শেষে তিনি অপরাজিত ২০৪ বলে ৮৮ রানে। তাহলে কি আরেকটা ইনিংস ব্যবধানে হারই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই মিলতে পারে বৃহস্পতিবার।
অ্যান্টিগার সবুজ উইকেটে কিছুই যেন করতে পারছিল না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। খেমার রোচের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করে দলটি। মাত্র ৪৩ রানে শেষ ১ম ইনিংস! তারই পথ ধরে অনেকগুলো অনাকাংখিত রেকর্ড হল বাংলাদেশের। গত ৪৪ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম রানের ইনিংস। সর্বশেল ১৯৭৪ সালের জুনে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ রান তুলে অলআউট হয়েছিল ভারত।
আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি যে কোন দলের টেস্ট সর্বনিম্ম রানের ইনিংস। ১৯৯৪ সালে পোর্ট অফ স্পেনে ইংল্যান্ডের ৪৬ রান তুলে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮তে অলআউট হয়েছিল। টি-টুয়েন্টিতে টাইগারদের সর্বনিম্ন স্কোর ৭০। টেস্ট ইতিহাসেই এটি ষষ্ঠ সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। অবশ্য টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ম রানে অলআউটের অনাকাংখিত রেকর্ডটা থাকল নিউজিল্যান্ডেরই। মাত্র ২৬ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৮.৪ ওভারে ৪৩/১০ (তামিম ৪, লিটন ২৫, মুমিনুল ১, মুশফিক ০, সাকিব ০, মাহমুদউল্লাহ ০, সোহান ৪, মিরাজ ১, রাব্বি ০, রুবেল ৬*, আবু জায়েদ ২; রোচ ৫/৮, গ্যাব্রিয়েল ০/১৪, হোল্ডার ২/১০, কামিন্স ৩/১১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৬৮ ওভারে ২০১/২ (ব্র্যাথওয়েট ৮৮*, স্মিথ ৫৮, পাওয়েল ৪৮, বিশু ১*; আবু জায়েদ ১/৫৫, রুবেল ০/২৪, কামরুল ০/৪৫, সাকিব ০/২২, মিরাজ ০/৪৫, মাহমুদউল্লাহ ১/৬)।
Discussion about this post