ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টেস্টে টানা চারদিন ধরে রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। পঞ্চমদিনে জয়ের মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল তাদের। কারণ বৃহস্পতিবার জিততে তাদের দরকার ছিল প্রতিপক্ষের ৭ উইকেট। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ছিল কঠিন চাপে। জিততে দরকার ৩২৬ রান। টেস্টের শেষদিনে এসে এমনিতেই চাপে থাকে দল। তারওপর এমন লক্ষ্য! মনে হচ্ছিল বড় ব্যবধানেই হারতে যাচ্ছে অজিরা।
কিন্তু হিসাবের ছক উল্টে গেল। পাকিস্তানকে হতাশায় ডোবালেন উসমান খাজা। তার বীরত্বের সঙ্গে ট্রাভিস হেড আর টিম পাইনের দৃঢ়চেতা ব্যাটিং। সব মিলিয়ে হারতে বসা দুবাই টেস্ট ড্রয়ের তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ল অস্ট্রেলিয়া।তারা নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের চতুর্থ ইনিংসের খেলার পুরস্কারটা পেল। অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংসে তুলে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৬২ রান।
উসমান খাজা বৃহস্পতিবার একা খেললেন শেষ দিনে ১৯৪ বল। ১৪১ রান করে যখন তিনি মাঠ ছাড়েন তখন খেলা অজিদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানের বোলারদের বল একেবারে অকার্যকর করে খেলতে থাকেন তারা। ট্রাভিস হেড করেন ৭২ রান। ৬১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ ড্র করেন টিম পাইন।
দুবাি্য়ে খাজা তুলেন ক্যরিয়ারের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। চতুর্থ ইনিংসে রেকর্ডও গড়েন অজি ওপেনার। ২০১০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩১ রান তুলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান ইউনিস খান। দেশটিতে শেষ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল এটি। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলেন খাজা।
খাজা ফিরলেও ঠিকই লড়ে গেছেন অজি অধিনায়ক টিম পাইন। দিনের টেস্টের শেষ বলটি খেলেই সাজঘরে ফিরেন তিনি। তখন তার ব্যাটে ৬১*। পাকিস্তানের হয়ে ১১৪ রানে ৪ উইকেট নেন ইয়াসির শাহ।
দুবাইয়ে পাকিস্তান ১ম ইনিংসে করে ৪৮২ রান। এরপর অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে যায় ২০২ রানে। তারপর পাকিস্তান ২য় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৮১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। জিততে চতুর্থ ইনিংসে অজিদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬২ রান। শেষ পর্যন্ত অজিরা ৮ উইকেটে করে ৩৬২ রান। ২ উইকেটই ম্যাচটা বাঁচিয়ে দিল অজিদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৮২/১০ ও ২য় ইনিংস: ১৮১/৬ (ডি.)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২০২/১০ ও ২য় ইনিংস: ১৩৯.৫ ওভারে ৩৬২/৮ (খাজা ১৪১, হেড ৭২, লাবুশেন ১৩, পাইন ৬১*, স্টার্ক ১, লায়ন ৫*; আব্বাস ৩/৫৬, হাফিজ ১/২৯, ইয়াসির ৪/১১৪)।
ফল: ড্র
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ০-০ সমতা
ম্যাচসেরা: উসমান খাজা
Discussion about this post