ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
গেল জাতীয় লিগেই মুশফিকুর রহিমকে দেখা গিয়েছিল স্পিন বল করতে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলেছিল। কিন্তু এবার ক্রিকেট প্রেমিরা জানতে পারলেন, মুশফিক একসময় ছিলেন রীতিমতো ফাস্ট বোলার, হাত ঘোরাতেন ইংল্যান্ডের দীর্ঘকায় পেসার স্টিভ হার্মিসনের মতো। বিকেএসপিতে পরীক্ষা দিতে আসার সময়ও নিজের ছোটখাটো গড়ন নিয়ে করতে চেয়েছিলেন পেস বোলিং। যদিও শেষপর্যন্ত আর পেসার হয়ে ওঠা হয়নি মুশফিকের। তার বদলে তিনি এখন দেশের সফলতম উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ব্যাপারটি শনিবার এক ইন্সটাগ্রাম লাইভে নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাতে লকডাউনের অফুরান অবসর কাঁটাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে এক ইন্সটাগ্রাম লাইভে যোগ দিয়েছিলেন মুশফিক। সেখানেই তার কাছ থেকে পেস বোলিংয়ের গল্পটা বের করে আনেন তামিম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আড্ডায় কথাপ্রসঙ্গে একপর্যায়ে তামিম বলেন, ‘অনেকে এটা জানে না যে তুই (মুশফিক) পেস বোলিং করতি। তাও আবার তোর বোলিং স্টাইল ছিল স্টিভ হার্মিসনের মত। ওর চেয়েও বড় রানআপ ছিল। আমার মনে আছে, খুব সম্ভবত অনূর্ধ্ব-১৫ এর এক প্র্যাকটিস ম্যাচে তুই পেস বোলিংও করেছিলি খুব সম্ভবত, বিকেএসপির ২ নম্বর মাঠে।’
পরে মুশফিক জানান, ‘আমার আসলে ক্রিকেটের চেয়েও বেশি প্রিয় ছিল ব্যাডমিন্টন। অনেক ভালো লাগত। কিন্তু তখন বিকেএসপিতে ব্যাডমিন্টন ছিল না। আমি ক্রিকেট-ফুটবল; দুটিতেই চান্স পেয়েছিলাম। পরে ক্রিকেটেই গেলাম। লারা আমার প্রিয় ছিল খুব, তার মতো ব্যাটিং করতে ইচ্ছে হতো। আমার ভাইরাও সব ক্রিকেট খেলত। সবমিলিয়ে ক্রিকেটেই গেলাম।’
পেস বোলিংয়ের ব্যাপারে মুশফিক বলেন, ‘বোলিং করতাম কারণ তখন (ছোটবেলায় এলাকার ক্রিকেটে) চেষ্টা করতাম যতদিক থেকে অবদান রাখা যায়। কিপিং সেভাবে করতাম না। বিকেএসপির কোচরাও তখন আমাকে বলতেন, ‘এই উচ্চতা নিয়ে পেস বোলার হতে চাও, পাগল নাকি?’ পরে একটা ম্যাচে আমাদের মূল কিপার ছিল না ইনজুরির কারণে। আমি কিপিং করলাম, ভালোবেসে ফেললাম।’
Discussion about this post