স্বপ্ন নয় পুরোটাই বাস্তব! টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে বাংলাদেশ পেল জয়! মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়ল মুমিনুল হকের দল। সাদা পোশাকে রঙিন মুমিনুল হকের দল।
টেস্টের প্রথম ইনিংসে কিউইদের ৩২৮ রানে অল আউট করে বাংলাদেশ। এরপর নিজেরা করে ৪৫৮ রান। ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে কিউইরা। এবার ফের বাংলার বোলিং ঝড়, অলআউট ১৬৯ রানে। তারপর ৪০ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে বুধবার সে লক্ষ্যে ৮ উইকেট হাতে রেখে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
টানা ৩২ ম্যাচ হার। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। নিউজিল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গিয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩২ ম্যাচের সবগুলোতে হার। ৯ টেস্টে শুধু হতাশা। অবশেষে সে আক্ষেপ ঘুচেছে। নিউজিল্যান্ডে ইতিহাস গড়া জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
সেই ২১ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে সফর করা বাংলাদেশ দল অবশেষে জয় পেল। ২ ম্যাচ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে কিউইদের দেওয়া ৪০ রানের লক্ষ্য টপকে ৮ উইকেটে জিতলো মুমিনুলের দল!
ইনজুরিতে পড়া মাহমুদুল হাসান জয়ের পরিবর্তে তিন নম্বর থেকে আজ ইনিংস শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাদমানের আউটের পর শান্তও ফেরেন ১৭ রান করে। পরে অধিনায়ক মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিম দলের জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। ১৭ ওভার খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। বাকি থাকে আরও ২ সেশন। এতেই জয় আসে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে এবাদত হোসেন নেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৬ উইকেট।তাসকিন ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩২৮
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৫৮
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: (আগের দিন ১৪৭/৫) ৭৩.৪ ওভারে ১৬৯ (টেইলর ৪০, রবীন্দ্র ১৬, জেমিসন ০, সাউদি ০, ওয়্যাগনার ০*, বোল্ট ৯*: তাসকিন ১৪-৩-৩৬-৩, শরিফুল ১২-২-৩০-০, মিরাজ ২২-৫-৪৩-০, ইবাদত ২১-৬-৪৬-৬, মুমিনুল ৪-০-৭-০)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৪০) ১৬.৫ ওভারে ৪২/২ (সাদমান ৩, শান্ত ১৭, মুমিনুল ১৩*, মুশফিক ৫*; বোল্ট ৫-৩-৪-০, সাউদি ৫-২-২১-১, জেমিসন ৩.৫-১-১২-১, ওয়্যাগনার ৩-১-৪-০)
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০তে এগিয়ে
ম্যাচসেরা: ইবাদত হোসেন
Discussion about this post