সমালোচনার তোপে ছিলেন তিনি। ব্যাটে রান নেই। দৃষ্টিকটু শট খেলে আউট হচ্ছিলেন-সমালোচনা তো থাকবেই। তবে তিনি যে মুশফিকুর রহিম। ঠিকই ব্যাট হাতেই জবাব দিয়ে দিলেন। শতরানে রাঙালেন চট্টগ্রাম টেস্টে। এই ইনিংস খেলার পথে রীতিমতো ইতিহাস গড়লেন মুশফিক। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান ক্লাবে পা রাখলেন।
যদিও শতরানের পরই বিদায় নেন তিনি। সুইপ করে বোল্ড! ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করে মুশফিক থামেন ১০৫ রান করে। ২৮২ বল খেলে চার মারেন মাত্র চারটি। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের বেশ সমীহই করলেন মুশফিক।
তবে ইতিহাস জানাচ্ছে- এটি তার ক্যারিয়ারের মন্থরতম শতক। তিন অঙ্কের জন্য ২৭০ বল খেলেন মুশফিক। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টে ২৩৫ বল খেলে করা শতরানটি ছিল মুশফির মন্থরতম।
৩৫ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যানটি রানে ফিরতে ছিলেন মরিয়া। এর আগে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সপ্তম সেঞ্চুরিকে দুইশতে নেন মুশফিক। বুধবার চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনের শেষদিকে ২৭০ বলে চারটি চারে করেন সেঞ্চুরি।
বুধবার সকালে ৫ হাজারি ক্লাবে পা রাখেন মুশফিক। তিনি আগের দিন ৫৩ রান তুলে কাজ এগিয়ে রেখেছিলেন। বুধবার গড়লেন নতুন ইতিহাস। পা রাখেন ৫০০০ রান ক্লাবে। টেস্টে যেখানে টাইগার ক্রিকেটে তিনিই প্রথম।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই কীর্তি গড়ে তেমন উচ্ছ্বাস করেন নি মুশি। সেই ২০০৫ সালের ২৬ মে, ঐতিহাসিক লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক তার। মাত্র ১৭ বছর ৩৫১ দিন বয়সে এই উইকেটকিপার ব্যাটারের অভিষেক হয়। ৮১তম টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইফলকে পৌঁছান তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে চার হাজার রানে সবার আগে পা রাখেন তামিম। তার ৫৫ টেস্ট লেগেছিল, মুশফিকের ৬৬ টেস্ট। এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে মুশফিককে খেলতে হয়েছে ২০ টেস্ট। দুই হাজার রানে পৌঁছাতে মুশফিক খেলেন ৩৫ টেস্ট।
৮১ টেস্টে মুশফিক ৫ হাজার রান পূর্ণ করেন মুশি। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটিও তার। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ২০০ রান করেন তিনি। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরেও ২১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এই তারকা ব্যাটসম্যান।
এবার মুশফিক ফিরলেন ১০৫ রানে। রেকর্ড গড়া ইনিংসে জবাবও দিলেন তিনি!
Discussion about this post