পাল্লেকেলেতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের ফয়সালার ম্যাচে লড়াইয়ের আগেই যেন হার মেনে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জে ব্যাটিংয়ে নামার পর ধসে পড়ে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় শ্রীলঙ্কা।
আজ শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন কুসাল মেন্ডিস। ১৮টি চারের সাহায্যে ১১৪ বলে ১২৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। তার সঙ্গে আসালাঙ্কার ৫৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস দলকে এনে দেয় চ্যালেঞ্জিং স্কোর—২৮৫ রান। যদিও শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলাররা রানের গতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল।
জবাবে বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুতেই পড়ে যায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে। ১৩ রানেই হারায় প্রথম দুটি উইকেট। তাওহিদ হৃদয়ের ৫১ রানের ইনিংস ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেননি। জাকের আলির ২৭ ও মিরাজের ২৮ রানের ইনিংস ছিল কেবল পরিসংখ্যান রক্ষা করার মতো। পুরো দল গুটিয়ে যায় মাত্র ৩৯.৪ ওভারে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুশমান্থা চামিরা ও আসিথা ফার্নান্দো তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। দুই উইকেট করে নেন হাসারাঙ্গা ও ওয়েলালাগে।
শেষ ম্যাচে হারার ফলে সিরিজও হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। ২–১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। ম্যাচসেরা হয়েছেন কুসাল মেন্ডিস, আর সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন চারিথ আসালাঙ্কা।
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচের ভেন্যু একই—পাল্লেকেলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ (নিসাঙ্কা ৩৫,মাদুশকা ১,কুসাল মেন্ডিস ১২৪,কামিন্দু মেন্ডিস ১৬,আসালাঙ্কা ৫৮,লিয়ানাগে ১২,ওয়েলালাগে ৬,হাসারাঙ্গা ১৮*,চামিরা ১০;তাসকিন ১০-০-৫১-২,তানজিম ৬-০-৪১-১,তানভির ১০-০-৬১-১,মুস্তাফিজ ১০-০-৫২-০,মিরাজ ১০-০-৪৮-২,শামীম ৪-০-৩০-১)।
বাংলাদেশ: ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ (পারভেজ ২৮, তানজিদ ১৭, শান্ত ০, হৃদয় ৫১, মিরাজ ২৮, শামীম ১২, জাকের ২৭, তানজিম ৫, তাসকিন ১, তানভির ৮, মুস্তাফিজ ০*; আসিথা ৭-০-৩৩-৩, চামিরা ৮-১-৫১-৩, থিকশানা ৬-১-১৮-০, ওয়েলালাগে ৮-০-৩৩-২, হাসারাঙ্গা ৮.৪-১-৩৫-২, কামিন্দু ২-০-১৪-০)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৯৯ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে শ্রীলঙ্কা ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: কুসাল মেন্ডিস।
সিরিজ সেরা: কুসাল মেন্ডিস।
Discussion about this post