২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক সূচি খুব বেশি ব্যস্ত না হলেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আয়ের চিত্রটা বেশ চমকপ্রদ। কেন্দ্রীয় চুক্তির বেতন এবং ম্যাচ ফি’র যৌথ হিসাব ধরলে চলতি বছরেই অনেক ক্রিকেটারের আয় দুই কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আর ২০২৬ সালে সেই অঙ্কটা পৌঁছাতে পারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ খেলবে ৬টি টেস্ট, ১০টি ওয়ানডে এবং ১২টি টি-টোয়েন্টি। এর সঙ্গে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে কমপক্ষে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে। সব ম্যাচ খেলতে পারলে একজন ক্রিকেটারের ম্যাচ ফি থেকেই আয় হবে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে কেন্দ্রীয় চুক্তির বেতন, যা মিলিয়ে অনেক ক্রিকেটারের আয় ২ কোটি টাকার ঘরে পৌঁছাবে।
তাসকিন আহমেদ, যিনি একমাত্র ‘এ-প্লাস’ গ্রেডে আছেন, তার মাসিক বেতন ১০ লাখ টাকা। বছরে ১ কোটি ২০ লাখ বেতনের সঙ্গে ম্যাচ ফি যোগ হলে তার সম্ভাব্য আয় দাঁড়ায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা। তবে ইনজুরির কারণে চলতি টেস্ট সিরিজে না খেলায় সেই অঙ্ক কিছুটা কমছে।
মুমিনুল হক, যিনি শুধুমাত্র টেস্ট ফরম্যাটে চুক্তিবদ্ধ, তবুও লাল বলের ম্যাচ ফি ও বেতন মিলিয়ে তার আয়ও কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে বাংলাদেশের সূচি আরও ব্যস্ত। ৮ টেস্ট, ২০ ওয়ানডে, ১২ টি-টোয়েন্টি এবং ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ন্যূনতম ৪টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। সব ম্যাচ খেলতে পারলে ম্যাচ ফি’র অঙ্কই দুই কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছাবে।
এর বাইরে রয়েছে বিপিএল, ডিপিএল এবং বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ, যেগুলো একজন খেলোয়াড়ের বার্ষিক আয়কে নিয়ে যেতে পারে ৫ কোটি টাকার ঘরেও।
এক সময় বাংলাদেশে বছরে পাঁচ কোটি টাকা আয় করা ক্রিকেটার ছিলেন একমাত্র সাকিব আল হাসান। এখন সেই দৌড়ে আছেন তাসকিন আহমেদ, শান্ত, এমনকি ফর্মে থাকলে লিটন-মুশফিকরাও।
Discussion about this post