স্রোতের বিপরীতে পুরো টুর্নামেন্টে লড়ে গেলেও শেষটা ভাল হল না লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে তাদের ৯৪ রানে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে নিল আবাহনী লিমিটেড। এটি ধানমন্ডির ক্লাবটির ১৯তম শিরোপা। তবে এই ম্যাচেও আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন ঠিকই থাকল। মাঠে হাজির অনেকেই জানিয়েছেন আম্পায়ারের বদন্যতায় ঝড়ো শতরান পেয়েছেন নাসির। কমপক্ষে তিনবার প্রাণ পেয়েছেন আবাহনীর এই ক্রিকেটার।
এদিন বিকেএসপিতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও নাসির হোসেনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি আবাহনীকে পাইয়ে দেয় ৪০ ওভারে ৩৭৪ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর এটি। তারপর সেই সংগ্রহের জবাবে নেমে শেষ দিকেচট জলদি উইকেট হারিয়ে রূপগঞ্জ তুলে ২৮০ রান।
১৬ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করল আবাহনী। আর রূপগঞ্জের হারে রানার্সআপ হল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দুটি দলের পয়েন্ট সমান ২২ হলেও মুখোমুখি দেখায় (হেড-টু-হেড) শেখ জামাল এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় হল। আর লিজেন্ডসরা আছে এরপরই।
এদিন ৩৭৪ রানের পুঁজি গড়েছিল আবাহনী। বড় লক্ষ্যে বাটিংয়ে নেমে সমানতালে লড়েছে রূপগঞ্জও। মোহাম্মদ নাঈম (৭০) ও মুশফিকুর রহীমের (৬৭) ফিফটিতে ২০০ রান উঠে ৩০.১ ওভারে। ৪ উইকেট হারিয়ে এই রান তুলে আশা জাগিয়েছিল রূপগঞ্জ। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না।
এর আগে আবাহনীর ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৭ বলে ১১৩ রান করেন। আর ৪ রান করতে পারলেই লিটন দাসের এক মৌসুমে করা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারতেন তিনি। ১৬ ম্যাচে চার সেঞ্চুরিতে শান্ত করেন ৭৪৯ রান।
আর নাসির হোসেন মাত্র ৯১ বল খেলে করেন ১২৯ রান। ১৫ চার ও চার ছক্কার সাজানো ছিল তার ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আবাহনী: ৫০ ওভারে ৩৭৪/৬ (এনামুল ৫৭, শান্ত ১১৩, বিহারি ৬, মিঠুন ১, নাসির ১২৯, মোসাদ্দেক ১৯*, মিরাজ ৭, মাশরাফি ২৮*; শহিদ ২/৮১, আশিকুজ্জামান ০/৬৮, রসুল ৩/৪২, আসিফ ১/৯৩, মোশাররফ ০/৫৩, নাঈম ইসলাম ০/৩২)।
রূপগঞ্জ: ৪২.৪ ওভারে ২৮০ (মজিদ ০, মোহাম্মদ নাঈম ৭০, অভিষেক ১৩, মুশফিক ৬৭, নাঈম ইসলাম ৭৬, রসুল ২৯, নাজমুল মিলন ৭, মোশাররফ ৭, শহিদ ০, আশিকুজ্জামান ০*, আসিফ ০; মিরাজ ২/২৯, মাশরাফি ১/৩০, সানজামুল ২/৬২, সন্দ্বিপ ২/৫৩, নাসির ২/৬৭, সাকলাইন ০/৩৭)।
ফল: আবাহনী ৯৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: নাসির হোসেন
Discussion about this post