ফাইনাল খেলতে পারে বাংলাদেশ? গত এশিয়া কাপের ফাইনালিস্টের এবার প্রত্যাশা কি?
আমাদের জন্য কঠিন। রিয়েলিস্টিক চিন্তা করলে আমরা যদি এই দুইটা ম্যাচ ভালো খেলতে পারি এবং আগের যে সিরিজগুলো খেলেছি বা এক দেড় বছরে যে সিরিজগুলো খেলেছি সেখান থেকে উন্নতির ছায়া যদি রাখতে পারি তাহলে একটা অ্যাচিভমেন্ট হবে এই টুর্নামেন্টে।
আমাদের যে খেলোয়াড় আছে সেটাকে যেন আমরা ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি। আমি বিশ্বাস করি আমরা ভালো দল। আর এমন না যে আমরা করে দেখাইনি। আমরা যদি একবার-দুইবার করে থাকি তার মানে আমাদের ওই সক্ষমতা আছে।
আমাদের রিসোর্স ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারলে আমরা এমন একটা দলে পরিণত হব যারা নিয়মিত ভালো ম্যাচ খেলে। জেতা শুরু করব। যদি হেরেও যাই তাহলে শেষ ওভারে যেয়ে হারব। যেটা দেখে বোঝা যাবে যে আমাদের উন্নতি হচ্ছে।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ…
আমাদের কাছে এখন দুই-আড়াই মাস সময় আছে। এখন ফোকাসের বিষয় হলো এ সময়ের মধ্যে কতটুকু উন্নতি করতে পারি। হ্যাঁ কিছু বিষয় আমাদের পক্ষে থাকবে না, ইনজুরির সমস্যাও আছে। এটা সবসময়ই হবে। সবসময় সবকিছু পক্ষে থাকবে না। এই প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা কীভাবে উন্নতি করতে পারি সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।
খেলার ধরণ প্রসঙ্গে..
আমি বলছি না যে, খেলার ধরনটা খুব একটা বদলে ফেলতে হবে। আমরা চাইলেই আমাদের শরীরটা বড় করে ফেলতে পারবো না। তবে আমাদের হাতে যে রিসোর্স আছে সেটা কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ।
এখন আমার কাছে তেল নেই, আমি তেল দিয়ে কী করতে পারি সেটা চিন্তা করে লাভ নেই। আমার কাছে গ্যাস আছে, গ্যাস দিয়ে কী কী করতে সেটা বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি আমাদের রিসোর্সগুলো ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, আমি বিশ্বাস করি আমরা ভালো দল। এমন না যে আমরা কখনও করে দেখাইনি।
পরিকল্পনা প্রসঙ্গে…
এই পরিকল্পনাগুলো সাধারণত কোচ ও অধিনায়ক মিলে করে থাকে। আমাদের যেহেতু একজন নতুন দায়িত্বে এসেছে, তার সঙ্গে পরিকল্পনা করেই করা হবে। এরকম পার্টিকুলার কোনো পরিকল্পনা থাকবে বলে আমার মনে হয় না। যেটা হচ্ছে যে সবাই অনেক ক্রিকেট খেলেছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে তাদের নিজেদেরই একটা আইডিয়া থাকে কীভাবে দলকে জেতানো যায়। সেভাবেই তারা চেষ্টা করবে বলে আমি মনি করি। এর জন্য আলাদা করে বলে দেওয়ার কিছু নাই। আমরা ফোর-ফাইভের ছাত্র না যে সব শিখিয়ে দিতে হবে।
পরিবর্তন নিয়ে..
এই পরিকল্পনাগুলো সচরাচর কোচ ও অধিনায়ক মিলে করে থাকে। আমাদের এখানে একজন নতুন দায়িত্বে এসেছেন তার সঙ্গে বসে এগুলো করা হবে। এরকম পার্টিকুলার কোনো পরিকল্পনা থাকবে বলে আমার মনে হয় না। যেটা হয়েছে সবাই অনেক ক্রিকেট খেলেছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যারা খেলে তাদের নিজেদের আইডিয়া থাকে কিভাবে দলকে জেতানো যায়। সবাই যার যার জায়গা থেকে সেভাবেই চেষ্টা করবে বলে মনে করি। এজন্য আলাদা করে বলে দেওয়ার কিছু নেই। আমরা ফোর-ফাইভের স্টুডেন্ট না যে আমাদের শেখায় শেখায় দিতে হবে। ওই জায়গায় আমরা আসলে নেই।
যে জায়গায় চ্যালেঞ্জিং..
এমন হতে পারে পাপন ভাই (নাজমুল হাসান) আমাকে চাপে রাখে। এটা থাকলে (অধিনায়কত্ব) থাকলে একটা চাপে রাখার সুযোগ থাকে। আমার কাছে মনে হয় যেহেতু চ্যালেঞ্জিং জায়গাগুলো (অধিনায়কত্ব) এবং সেই জায়গাগুলোতে আমি বোর্ডের কাছে সেরা অপশন। হয়তো এ কারণে আমাকে নির্বাচন করা হয়েছে।
ফের নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে আগ্রহ..
কঠিন প্রশ্ন…আমি জানি না কতোটুকু, তবে এখন আমি অনেক অনুপ্রাণিত। আমি চেষ্টা করবো আমার যে অভিজ্ঞতা আছে সেটা দিয়ে যতটুকু দলের ভালো করানোর চেষ্টা করা যায়।
Discussion about this post