ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দেড় বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে শুক্রবার যখন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের বাইজ গজে নামেন আফিফ হোসেন, তখন বাংলাদেশের করুণ অবস্থা। ঠিক সে সময় ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন এ ডানহাতি। এরপর সময় যতো গড়িয়েছে ততটাই নিজের ইনিংস দাপটের সঙ্গে বড় করেন। শেষ পর্যন্ত দলকে জেতানোর মতো জায়গায় রেখে তিনি ফেরেন ২৬ বলে ৫২ রান করে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে স্বাধীনতা পেয়েই এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপারটি জানিয়ে দেন এ তরুণ তারকা।
সব সময় আফিফ পছন্দ করেন নিজের মতো করে খেলতে। শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগেই টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে পেয়ে স্বাধীনতা। তাই মিরপুরের ২২ গজে গিয়ে কোন ভয়-ডর কাজ করেনি তার মধ্যে। যে কারণে প্রথম বল থেকে তিনি ঝড়ো তোলেন। এক পর্যায়ে মাত্র ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জিতে যায় ৩ উইকেটে ২ বল হাতে রেখে। ম্যাচ শেষে আফিফ জানালেন, দল থেকেই তিনি লাইসেন্স পেয়েছিলেন সহজাত ব্যাটিং করার, ‘আমার চিন্তা ছিল আমি আমার মতো করে খেলব। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করব। কোচ ম্যাচের আগে আমাকে শুধু নিজের মতো করে খেলার পরামর্শ দিয়েছে। ম্যাচের আগে সবাই আমাকে বলেছেন নিজের মতো করে খেলতে। আমি সেই অনুযায়ী খেলতে পেরেছি।’
গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেকও হয়েছিল আফিফের। তবে দুই বলে শূন্য রানে আউট হয়ে অভিষেকের আনন্দ রূপ নিয়েছিল বিষাদে। দল থেকেও ছিটকে পড়তে হয়। তাই আবার এ ডানহাতি ফেরার লড়াই শুরু করেন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। হাই পারফরম্যান্স দল, ইমার্জিং দল, ‘এ’ দলেও খেলেন নিয়মিত। তিনি পারফর্ম করে গেছেন। সবশেষ কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে তার সবশেষ তিন ইনিংস ছিল অপরাজিত ৬৮, ৫৪ ও অপরাজিত ১০০ রানে।
দেড় বছর আগে দল থেকে বাদ পড়ার পর যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন, আফিফ চেষ্টা করেছেন পারফর্ম করতে, ‘বাদ পড়ছিলাম, ওটা আমার কাছে দেখার বিষয় ছিল না। আমরা ভাবনা ছিল, যেখানেই খেলা হবে, আমার সেরা পারফর্ম করে আবার ফেরার চেষ্টা করব। এইচপি, ‘এ’ দলে যতগুলো ম্যাচ ছিল, সেগুলোতে ভালো করার চেষ্টা করেছি।’
সামনে সুযোগ পেলে শুক্রবারের চেয়েও আরও ভালো পারফর্ম করতে চান আফিফ। এ লক্ষ্য নিয়েই রবিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রি-দেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরবর্তী ম্যাচে খেলতে নামবেন তিনি। এটা তো বলায় যায়।
Discussion about this post