জয়ে শুরু। হারে শেষ। ওয়ানডে সিরিজে এই হলো দৃশ্যপট। তবে মাঝের ম্যাচটি জিতে ঠিকই সিরিজটা নিজের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার সিরিজের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তান জিতল ৭ উইকেট। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ তার শতকেই সফরকারীরা পেল অনায়াস জয়।
অথচ প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে সোমবার মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। টস ভাগ্যও ছিল সঙ্গে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পারেনি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে এসে পরাজয়!
তামিম ইকবালের দল হারল ৭ উইকেটে। এই হারে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও ঘরের মাঠ থেকে আইসিসি ওয়ার্ল্ডকাপ সুপার লিগে গুরুত্বপূর্ণ ১০ পয়েন্ট পেল না টাইগাররা। একইসঙ্গে আফগানিস্তানকে প্রথমবার এবং প্রতিপক্ষকে ১৬তম হোয়াইটওয়াশও করা হলো না। আর ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয়বার ছয়ে উঠার সুযোগটাও নষ্ট হল।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এই হার। চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে সোমবার বাংলাদেশ অলআউট ১৯২ রানে।
ক্যারিয়ারের ৫০তম ম্যাচে লিটন তুলেন ৮৬। ১৪ রানের জন্য হলো না টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তিনি একাই লড়েন। দলের অন্য সবাই মিলে করতে পারেন কেবল ৯৭ রান। অতিরিক্ত থেকে ৯।
এরপর গুরবাজের সেঞ্চুরি। ১০৯ বলে ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই আফগান। তিন জীবনে গুরবাজের শতক।
শরিফুল ইসলামের পরপর তিন ওভারে তিনবার বেঁচে যাওয়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ করেনন সেঞ্চুরি। ৯ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস।
গুরাবাজের সেঞ্চুরি আসে ১০২ বলে। ম্যাচের সেরা তিনি ছাড়া আবার কে?
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৪৬.৫ ওভারে ১৯২/১০ (তামিম ১১, লিটন ৮৬, সাকিব ৩০, মুশফিক ৭, ইয়াসির ১, মাহমুদউল্লাহ ২৯*, আফিফ ৫, মিরাজ ৬, তাসকিন ০, শরিফুল ৭, মুস্তাফিজ ১; ফারুকি ৭.৫-০-৩৩-১, মুজিব ৮-০-৩৭-০, ওমরজাই ৬-০-২৯-১, নাইব ৫-০-২৫-০, রশিদ ১০-০-৩৭-৩, নবি ১০-০-২৯-২)
আফগানিস্তান: ওভারে ৪০.১ ১৯৩/৩ (গুরবাজ ১০৬*, রিয়াজ ৩৫, রহমত ৪৭, শাহিদি ২, নাজিবউল্লাহ ১*; শরিফুল ৭-১-৪১-০, তাসকিন ৬-০-৩৪-০, সাকিব ১০-০-৪৭-১, মুস্তাফিজ ৬-০-২৪-০, মিরাজ ৮.১-০-৩৭-২, আফিফ ২-০-৮-০, ইয়াসির ১-০-২-০)
ফল: আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: রহমানুল্লাহ গুরবাজ
সিরিজ : বাংলাদেশ ৩ ওয়ানডে ম্যাচ সিরিজে ২-১ জয়ী
Discussion about this post