শেষ ওভারের নাটক, শরিফুল-সোহান জুটিতে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়! শারজাহর উত্তপ্ত বাতাসের মাঝেই জমে উঠেছিল এক উত্তেজনাপূর্ণ টি-টোয়েন্টি লড়াই। যেখানে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান বারবার ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নায়ক হয়ে উদিত হলেন দুই অপ্রত্যাশিত ত্রাতা—নুরুল হাসান সোহান ও শরিফুল ইসলাম। তাদের শান্ত মাথার ব্যাটিংয়ে পাঁচ বল হাতে রেখেই বাংলাদেশ জয় তুলে নেয় ৮ উইকেট হারিয়ে। এর মধ্য দিয়েই এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা।
ব্যাট হাতে শুরুটা আফগানিস্তানের ছিল ধীরগতির। ইবরাহিম জাদরান ও সেদিকউল্লাহ আতাল প্রথম ৬ ওভারে তোলেন মাত্র ৩৫ রান। রিশাদ হোসেন জুটি ভাঙেন আতালকে আউট করে। এরপর গুরবাজ ও ইবরাহিম রান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষ দিকে নবী ও ওমরজাই কিছুটা গতি আনলেও বাংলাদেশের বোলাররা ছিল নিয়ন্ত্রিত। শরিফুল ইসলাম মাত্র ১৩ রানে ১ উইকেট নেন, রিশাদ তুলে নেন ২টি।
প্রথম ইনিংস শেষে ১৪৮ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। দুই ওপেনার তামিম ও ইমন ২ রান করে ফেরেন। পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে দল তখনও চাপেই। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় শামীম হোসেন ও জাকের আলীর জুটি। কার্যকর ব্যাটিংয়ে দুজনেই দলকে ১০০ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান। জাকের খেলেন ২৫ বলে ৩২ রান, শামীম ২২ বলে ৩৩।
তবে আবারও ছন্দপতন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই মুহূর্তেই দৃঢ়তা দেখান সোহান। তাকে সঙ্গ দিতে নেমে শরিফুল কেবল উইকেটে টিকে থাকেননি, শেষ ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই দারুণ বোলিং করেছেন আফগানিস্তানের হয়ে, নিয়েছেন ৪ উইকেট। রশিদ খান ২ উইকেট পেলেও, জয় আটকাতে পারেননি। শেষ হাসি বাংলাদেশের!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৭/৫ (সেদিকউল্লাহ ২৩, ইব্রাহিম ৩৮, গুরবাজ ৩০, তারাখিল ১, রাসুলি ১৪, ওমারজাই ১৯*, নবি ২০*; শরিফুল ৪-০-১৩-১, নাসুম ৪-০-২৫-২, সাইফ উদ্দিন ৪-০-২২-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৪০-০, রিশাদ ৪-০-৪৫-২)
বাংলাদেশ: ১৯.১ ওভারে ১৫০/৮ (তানজিদ ২, পারভেজ ২, সাইফ হাসান ১৮, জাকের ৩২, শামীম ৩৩, সোহান ৩১*, নাসুম ১১, সাইফ উদ্দিন ৪, রিশাদ ২, শরিফুল ১১*; মুজিব ৪-০-১৮-১, ওমারজাই ৩.১-০-২৩-৪, রশিদ ৪-০-২৯-২, নুর ৪-০-৪০-১, নবি ৩-০-৩২-০, আহমেদজাই ১-০-৮-০)
ফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী
Discussion about this post