ম্যাচের মাঝ পথেই জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। সেটাই তো স্বাভাবিক। পাকিস্তানকে যে ৩৪২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল টাইগাররা। নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়েও জয় দেখা হল না। বোলারদের ব্যর্থতাতে ২ উইকেটে হার! আইসিসি চ্যাম্পয়ন্স ট্রফির প্রস্ততি পর্বে এমন হার-হতাশা তো ছুঁয়ে যাবেই।
ম্যাচ শেষে ইমরুল কায়েস সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপে পুঁড়ে মরলেন। বললেন, ‘ম্যাচ হারলে খারাপ লাগেই। সবাই হতাশ। জিতলে হাসি থাকত সবার মুখে। এতো বড় স্কোর গড়েও পারি নি। তাই হাসিটাও নেই।’
জয়ের এতো কাছে গিয়েও হার। টাইগার ক্রিকেটার ইমরুল বললেন, ‘সত্যি বলতে কী এখান থেকে ম্যাচ হারা দু:খজনক। ম্যাচটা আমাদের হাতেই ছিল। একটা সময় আমাদের মনে হয়েছে, ম্যাচ এমনিতেই জিতে যাব। সহজ ক্রিকেটীয় হিসেবে সেটিই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হলো না। আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। ওরা আমাদের কাছ থেকে নিজেদের জয় অর্জন করে নিল।’
শনিবারের ম্যাচে ফিল্ডিং নিয়েও আক্ষেপ আছে ইমরুলের। আসলে ক্যাচ ছাড়লে তো আর ম্যাচ জেতা যায় না। দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার বলছিলেন, ‘আসলে ফিল্ডিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে যেটা আমাদের ভালো হয়নি। কেউ তো মাঠে গা ছাড়া থাকে না। সবাই চেষ্টা করে। তার পরও ভুল হয়ে যায়। আজও সেরকম দু-একটি ভুল হয়েছে। ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। আরও ফিল্ডিং সেশন দরকার আমাদের।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৪১/৯ (তামিম ১০২, সৌম্য ১৯, ইমরুল ৬১, মুশফিক ৪৬, সাকিব ২৩, মাহমুদউল্লাহ ২৯, মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ১৩*, মাশরাফি ১, সানজামুল ০*; জুনাইদ ৪/৭৩, হাসান ২/৫৮ ফাহিম ০/৩৫, ওয়াহাব ০/৬৮, হাফিজ ০/১১, শাদাব ২/৫৫, ইমাদ ০/৩৮)।
পাকিস্তান: ৪৯.৩ ওভারে ৩৪২/৮ (আজহার ৪, শেহজাদ ৪৪, বাবর ১, হাফিজ ৪৯, মালিক ৭২, সরফরাজ ৫, ইমাদ ৪৫, শাদাব ৭, ফাহিম ৬৪*, হাসান ২৭*; মাশরাফি ১/৬৮, তাসকিন ১/৮০, শফিউল ১/৪৬, সৌম্য ০/২৫, সাকিব ১/৪১, সানজামুল ০/১৭, মোসাদ্দেক ১/২৯, মিরাজ ২/৩০)।
ফল: পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী
Discussion about this post