ব্যাটিং-বোলিং দুটোতেই লেগে আছে একটা শব্দ -আক্ষেপ! ১৫ রান বেশি হলে হয়তো হাসিমুখ নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো বাংলাদেশ দল। কিংবা বোলাররা যদি শেষটাতে এসে ঠিক লাইনে বল ফেলতেন তবে আফগানিস্তানকে হারিয়েই শেষ চার নিশ্চিত করতে পারতো টাইগাররা। কিন্তু কোনটাই হয়নি। সাকিব আল হাসানের শততম টি-টুয়েন্টি ম্যাচটা হেরেছে দল।
মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ের পরও দলকে জেতাতে পারলেন না। মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হার মানে বাংলাদেশ দল। টানা দুই জয়ে প্রথম দল হিসেবে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করল আফগানিস্তান।
কিছুটা স্লো উইকেটে টস জিতে প্রথমে ম্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সাকিবের শততম টি-টুয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ তুলে ১২৭ রান। জবাবে নেমে মোহাম্মদ নবির দল ৯ বল বাকি থাকতেই পা রাখে জয়ের বন্দরে। ১৭ বলে ৬টি ছক্কা ও ১টি চারে অপরাজিত ৪৩ রান তুলে জয়ের নায়ক নাজিবউল্লাহ।
মোসাদ্দেক হোসেন ৩১ বলে এক ছক্কা ও চারটি চারে তিনি অপরাজিত ৪৮ রানে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার সর্বোচ্চ। আগের সেরা ছিল ৩৪ রান। রিয়াদ করেন ২৫ রান।
ম্যাচ শেষে হারের কারণ হিসেবে সাকিব বলছিলেন, ‘এটা সব সময়ই কঠিন যখন আপনি ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলবেন প্রথম ৫-৬ ওভারে। উইকেট বিবেচনায় আমরা ১০-১৫ রান কম করেছি। আমি মনে করি বোলাররা স্বল্প পুঁজি নিয়েও অসাধারণ বোলিং করেছে। প্রথম ১৫ ওভার দারুণ কেটেছে বোলারদের। পরের ৩-৪ ওভারেই তারা আমাদের থেকে ম্যাচটি বের করে নিয়েছে। তাদের ক্রেডিট দিতেই হবে যেভাবে ম্যাচটি জিতেছে।’
বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে সুপার ফোরে যাওয়ার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জিততেই হবে টাইগারদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৭/৭ (নাঈম ৬, এনামুল ৫, সাকিব ১১, মুশফিক ১, আফিফ ১২, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মোসাদ্দেক ৪৮*, মেহেদি ১৪, সাইফ ০*; ফারুকি ৪-০-২৫-০, মুজিব ৪-০-১৬-৩, নাভিন ৪-০-৩১-০, রশিদ ৪-০-২২-৩, নবি ৩-০-২৩-০, ওমরজাই ১-০-৭-০)।
আফগানিস্তান: ১৮.৩ ওভারে ১৩১/৩ (জাজাই ২৩, গুরবাজ ১১, ইব্রাহিম ৪২*, নবি ৮, নাজিবউল্লাহ ৪৩*; সাকিব ৪-০-১৩-১, মুস্তাফিজ ৩-০-৩০-০, মেহেদি ৪-০-২৬-০, তাসকিন ৩-০-২২-০, মোসাদ্দেক ২.৩-০-১২-১, সাইফ ২-০-২৭-১)
ফল: আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মুজিব উর রহমান
Discussion about this post