এ বছর নিউজিল্যান্ড সফরটা মিস করেছিলেন সাকিব আল হাসান। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর শ্রীলঙ্কা সফর থেকেও সরিয়ে নেন নিজেকে। ছুটি নিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার সিদ্ধান্ত নেন। এনিয়ে ঢের সমালোচনা হয়েছে। মাঝপথে আইপিএল স্থগিতের পর দেশে ফিরে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে খেলেছেন সাকিব। এ অবস্থায় ঠিক হয়েছে আইপিএলের বাকি অংশ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
জানা গেছে, এবার আইপিএলে খেলার অনুমতি পাবেন না সাকিব। এমন কী সুযোগ মিলবে না মুস্তাফিজুর রহমানেরও। এবার তাদের খেলার কোনও সুযোগ দেখেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দেশের খেলা ছেড়ে দুজনকে আইপিএল খেলার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
সব ঠিক থাকলে-আইপিএল হবে অক্টেবর-নভেম্বরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে ১৮ অথবা ১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে আইপিএল। ৯ বা ১০ অক্টোবর হবে ফাইনাল। ঠিক এই সময়ে একই সময়ে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ আতিথেয়তা দেবে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫টি করে মোট ১০টি টি-টুয়েন্টি আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। অক্টোবর পর্যন্ত ১৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক সূচি মাথায় রেখে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘দেখুন, আমাদের আন্তর্জাতিক সূচি চূড়ান্ত। সাকিব ও মুস্তাফিজের এনওসি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখি না। কোনও সুযোগই নেই দেশের খেলা ছেড়ে ওখানে খেলার। বিশ্বকাপ চলে এসেছে। এখন আমাদের প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামবো। আমরা ওয়ানডে সুপার লিগের তিনটি ম্যাচ খেলবো। সঙ্গে বিশ্বকাপের আগে তিনটি টি-টোয়েন্টিও গুরুত্বপূর্ণ।’
২৮ আগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) নবম আসর। দুই টুর্নামেন্টের জন্য দল পেয়েছেন সাকিব। তিনি এই আসরও মিস করবেন।
Discussion about this post