বেশ কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত এক ভেন্যু মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তারই পথ ধরে এই মাঠটি বুধবার উঠে গেল অভিজাত ক্লাবে। শততম ওয়ানডে ম্যাচে এদিন খেলতে নামে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। সেই ২০০৬ সালে পথচলা শুরু এই মাঠের। তারপর চটজলদিই আন্তর্জাতিক ওয়ানডের সেঞ্চুরিটা হয়ে গেল। নিজেদের প্রিয় ভেন্যুর মাইলফলকের দিনে মাঠেই থাকতে পারত মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। কিন্তু বিসিবির করা ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচির কারণে দর্শক সেটা হল না। আর এমন ঐতিহাসিক ম্যাচে গ্যালারিতে থাকলেন মাত্র শ’খানেক দর্শক!
বাংলাদেশ- জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল এই মাঠের। ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। যদিও স্টেডিয়ামটির কোথাও নেই অভিষেক ম্যাচের স্মৃতিচিহ্ন! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এমন উদাসীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হল আরো একবার।
গত এগারো বছরে হোম অব ক্রিকেট হয়ে উঠা মিরপুরের মাঠে ১১ সেঞ্চুরি হয়েছে ওয়ানডেতে। এই মাঠ এরইমধ্যে বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ সহ বড় আসরের আয়োজক হয়েছে। আর কিউরেটর হিসেবে আট বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন শ্রীলঙ্কার গামিনি সিলভা।
এর আগে মাত্র ৫টি স্টেডিয়াম একশো ওয়ানডের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। অবশ্য এত কম সময়ে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি ম্যাচ আয়োজনের প্রথম নজির গড়লো মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
এর আগে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে ১৯৮৪ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় শারজা ক্রিকেট গ্রাউন্ডের। তিন যুগের ইতিহাসে এখানে হয়েছে ২৩১টি ম্যাচ। ম্যাচ আয়োজনের হিসেবে এরপরই আছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ৪৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার ভেন্যুটিতে ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছে ১৫৪টি। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড আয়োজন করেছে ১৪৮টি ওয়ানডে। এরপরই আছে জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠ। এখানে হয়েছে ১৩৬টি ওয়ানডে ম্যাচ। আর শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে হয়েছে ১২৪টি ওয়ানডে ম্যাচ। সেই তালিকায় এবার ঢুকে গেল মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট।
Discussion about this post