ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
গত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়টা মোটেও ভালো কাটতে। যে কারণে দলের ভেতরে-বাইরে দেখা দিয়েছে গুমোট ভাব। এ থেকে বের হতে অবশ্য একটা জয় দরকার। এজন্য বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে সাকিব আল হাসানের ভাবনায় শুধুই একটি শব্দ-জয়।
গেল বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। কিন্তু তার সতীর্থরা ভালো করতে না পারায় সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নেয় টিম টাইগার্স। পরে শ্রীলঙ্কা সফরেও হতাশ হয়ে ফেরেন মাশরাফিরা। এদিকে ইমার্জিং দল সিরিজ হারছে শ্রীলঙ্কার কাছে, ‘এ’ দল সিরিজ হারছে আফগানদের কাছে। ভারত সফরে ফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ। তবে ব্যাপারগুলো এখন অতীত। তাই সেগুলো আর মনে করতে চাইছেন না তারা। সবার চোখ এখন ঘরের মাঠে কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট।
ঘরের মাঠে বৃহস্পতিবারই প্রথম টেস্টে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। যে ম্যাচ জিততে চাইছেন সাকিব,‘গত কদিনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়টা ভালো কাটছে না। হাইপারফরম্যান্স দল, “এ” দল—কোথাও আমরা খুব একটা ভালো করতে পারেনি। শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ ইংল্যান্ডে ফাইনাল (ত্রিদেশীয় সিরিজে) খেলেছে। এই টেস্ট আমাদের কাছে তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ, খুব ভালো ভাবে জিতলে অনেক কিছু আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।’
আফগানদের বিপক্ষে জয়ই সবাই আশা করে। কিন্তু হারলেই যে কঠোর সমালোচনায় পড়তে হবে টাইগারদের। ব্যাপারটি সাকিব জানলেই পাত্তা দিচ্ছেন। তার চোখ শুধু জয়ের দিকে, ‘ (আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে জিতলে) প্রশংসা হয় না এটা মনে হয় ভুল ধারণা। আমরা ক্রিকেটাররা জানি এটা কত বড় ম্যাচ, জিততে হলে কতটা ভালো করতে হয় ও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আমরা নিজেদের সেভাবেই উৎসাহিত করি। মানুষ কিংবা আপনারা কতটা প্রশংসা করেন না করেন, এটা আমাদের কাছে বড় ব্যাপার নয়। ১ রানে জিতলেও সেটি জয়, ১০০ রানে জিতলেও তাই। ১ উইকেট হোক বা ১০ উইকেট, জয় তো জয়ই। জেতাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
ঘরের মাঠে সব সময় বাংলাদেশ টেস্ট একাদশ করে স্পিন নির্ভর। কিন্তু আফগান শিবিরেও যে রয়েছে বিশ্ব মানের স্পিনার। যা ভাবাচ্ছে স্বাগতিকদের।
পাঁচ দিনের ম্যাচে বৃহস্পতিবার হয়তো একজন পেসার নিয়ে নামবে বাংলাদেশ। বাকিত তিন-চার থাকবেন স্পিনার। এমন একাদশ আসলে আবার সমালোচনা ওঠার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ব্যাপারটিকে পাত্তায় দিচ্ছেন না সাকিব, ‘যখন ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় খেলা হয়। ওরা অনেক সময় চার সিমার নিয়ে খেলে। একাদশে কোনো স্পিনার খেলে না। কই সেগুলো নিয়ে তো আমরা সমালোচনা করি না। আমার কাছে মনে হয় না এগুলো নিয়ে চিন্তা করার কিছু আছে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে একদমই ভাবি না। আমাদের চিন্তা একটাই-ম্যাচটা জেতার। সেটি যদি দুজন বা তিনজন সিমার নিয়ে খেলতে হয়, খেলবো। একজন সিমার নিয়ে খেলতে হলেও খেলবো। যেটাই আমরা পরিকল্পনা করবো, সেটিতেই অটল থাকার চেষ্টা করবো। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করবো।’।
Discussion about this post