ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
নিউজিল্যান্ডে পা রেখেই হোটেলবিন্দি সময় কেটেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেই নতুন এক অভিজ্ঞঝতার মুখোমুখি হয় দল। কারও সঙ্গে দেখা নেই। হোটেলের এক রুমে বন্দি। এরপর অবশ্য ঘর ছেড়ে বেরিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে অনুশীলনের সুযোগ এখনো পান নি তার। করোনাভাইরাস সব দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে।
এর মধ্যে একটা সুখবর-২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। গত শুক্রবার জানা গেল সবাই নেগেটিভ। এ অবস্থায় সময়টা অবশ্য ভাল কাটছে না। রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন দলের তারকা ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অলাউন্ডএরর কাছে যেন জেল জীবনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে।
হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন কীরকম কাটছে। এই প্রথম হোটেলের ভেতর এরকম পাঁচটা দিন কাটিয়েছি। প্রথম দিকে সময় কাটছিল না। কারও সঙ্গে দেখাই হয়নি। প্রথম তিনদিন তো কারও সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। ফোনে-ফোনে কথা হয়েছে সবার সাথে, ভিডিও কলে কথা হয়েছে রুম টু রুম। প্রথমদিকে বোরিং লাগছিল, সময় কাটছিল না। এখন যেহেতু পাঁচদিন কেটে গেছে, আশা করি আরও তিনদিন কেটে যাবে।’
নিউজিল্যান্ডের কোয়ারেন্টাইন নীতি বেশ কড়া। ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন মিরাজ। বেশ অস্বস্তিতেই আছেন দলের ক্রিকেটাররা। মিরাজ জানান, ‘প্রথম তিনদিন তো রুমের ভেতরেই ছিলাম। তারপর আধাঘণ্টা করে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছি সবাই। আমি যখন প্রথম যেদিন বেরিয়েছিলাম গত কালকে, শুরুর দিকে মাথা একটু ঘুরতেছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১০-১৫ মিনিট পর ঠিক হয়ে গেছিল। আমি মনে করি যে, তিনদিন যে ঘরের ভেতর যে বন্দি ছিলাম, আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে যে জেলখানায় আছি বা হতাশা আছে, এরকম একটু ফিল হচ্ছিল। বাট যখন বাইরে বেরিয়ে আসলাম, আবহাওয়ার সঙ্গে এডজাস্ট হলাম, তখন একটু ভালো ফিল হয়েছে। যখন রুমে গেছি, তখন নিজেকে একটু ফ্রেশ মনে হয়েছে।’
রোববারও কিছুটা সময়ের জন্য বাইরে গেছেন। মিরাজ বলেন, ‘আজকেও যখন আধঘণ্টার জন্য বের হতে পেরেছি… সারাদিন রুমে থাকতে তো আর ভালো লাগে না। দেখেন তিন-চারদিন রুমে কাটানো, একইভাবে এটা আসলে একটু আমাদের জন্য আনকমফর্টেবল। এই যে ত্রিশ মিনিটের জন্য বাইরে আসতে দেয়, এটা ভালো লাগে যখন রুমে যাই।’
সামনে অবশ্য এই সমস্যা কাটবে। অলরাউন্ডার মিরাজ বলছিলেন, ‘ছয়-সাতদিন পর যখন আমরা জিম এবং মাঠে যেতে পারব, তখন আমাদের ভালো লাগবে। এখন হয়তো সময়টা কাটছে না। জিমের ফ্যাসিলিটিজ বা আমরা যদি কিছু ওয়ার্ক করতে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য সহজ হতো, সময়টা কেটে যেত, বডি ফিটনেস ভালো হতো। যেহেতু অপর্চুনিটি নেই, দুই-তিনদিন পর স্টার্ট হবে। আশা করি তখন ইনশাআল্লাহ্ ভাল হবে।’
কিউইদের সঙ্গে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে ও সমান টি-টুয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ। ২০ মার্চ ওয়ানডে দিয়ে শুরু বাংলাদেশের। সিরিজের পরের দুই ওয়ানডে ২৩ ও ২৬ মার্চ। ৩ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ যথাক্রমে ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল।
Discussion about this post