দেশ নতুন করে অস্থিতিশীল হয়ে না উঠলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল এই জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবে। এশিয়া কাপ আগামী ফেব্রুয়ারিতে পূর্বনির্ধারিত সময়েই হবে। এরপর হবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ।
তবে তার আগে বড় চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ সফর। এখানে নিরাপত্তা পরীক্ষায় পাশ হতেই হবে। শুধু টিম হোটেল, তার আশপাশ, মাঠে যাওয়া-ফেরার রাস্তা আর স্টেডিয়ামের ভেতর-বাইরে ভিভিআইপি সিকিউরিটির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেলেই হবে না। সবার আগে দরকার অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভা আর পরে আইসিসি সভায় যোগ দেওয়া শেষে শুক্রবার দেশে ফিরে গনমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা (বিসিবি) আমাদের কাজ করেছি। এখন সবকিছু রাজনৈতিক দল, সরকার, মিডিয়া ও জনসাধারণের ওপর। বিশ্বকাপ টি-টুয়েন্টির পুরুষ ও মহিলা বিভাগে যে ২৬ দল অংশ নেবে, তার সব দেশের বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর আরও কিছু আসরও বাংলাদেশে হওয়ার কথা আছে। কিন্তু চরম সত্য হচ্ছে, এখন বড় কঠিন সময় পার করছি আমরা। এখন নতুন করে আর একটি দুর্ঘটনা ঘটলে আর রক্ষা নেই। তাহলে আর কেউ এ দেশে খেলতে চাইবে না। তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের ক্রিকেট ১৫ থেকে ২০ বছর পিছিয়ে যাবে।’
এইতো কিছুদিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ্ব-১৯ দল সফরের মাঝপথে দেশে ফিরে যায়। তেমন ঘটনা আর একবার ঘটলেই শেষ। নাজমুল হাসান জানালেন,-‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হোম সিরিজ আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবার চোখ থাকবে এই সিরিজে। সেটা নির্বিঘ্নে-সুষ্ঠুভাবে হয়ে গেলে আর চিন্তা থাকবে না।’ শ্রীলঙ্কা আসছে। এশিয়া কাপও যথাসময়ে বাংলাদেশেই। বিশ্বকাপ টি-টুয়েন্টিও আর কোথাও সরে যাচ্ছে না। সিলেট থেকে ওয়ানডে সরিয়ে ঢাকায় আনা হচ্ছে। আসলে বিদেশি দলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।’
এই চ্যালেঞ্জে জিততে রাজনীতিবিদদের সহায়তা প্রয়োজন।
Discussion about this post