ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পথচলার শুরুটা নিউজিল্যান্ডের হল দুর্দান্ত। শনিবার সিডনিতে এ টুর্নামেন্টের সুপার টুয়েলভ পর্বের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানে উড়িয়ে দিয়েছে কিউইরা। এ জয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১১ বছর পর প্রথম জয় পেল নিউজিল্যান্ড। সর্বশেষ ২০১১ সালে হোবার্ট টেস্টে জয়ের পর প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে টানা ১৫ ম্যাচ জয়হীন ছিল কিউইরা।
শনিবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ের (৫৮ বলে ৯২) বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে তারা। পরে টিম সাউদি (৬ রানে ৩ উইকেট) ও মিশেল স্যান্টনারের (৩১ রানে ৩ উইকেট) বোলিং তোপে অজিদের মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে দেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
লক্ষ্য তাড়ায় শনিবার অস্ট্রেলিয়া কখনই কক্ষপথে ছিল না। দ্বিতীয় ওভারে টিম সাউদির বলে ডেভিড ওয়ার্নার বোল্ড হন । এরপর স্পিন হোক কি পেস– মেরে খেলতে গিয়ে সব ধরনের বোলারের কাছেই উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিপর্যয় সামাল দিতে গেলে স্লথ হয়েছে রান–তোলার গতিও। তবে ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৬২ রানের পরও কিছুটা ভরসা হয়ে টিকেছিলেন টিম ডেভিড আর ম্যাথু ওয়েড। তবে মিচেল স্যান্টনারকে ছয় মারার পরের বলেই জিমি নিশামকে ক্যাচ দেন ডেভিড। আর লকি ফার্গুসনের বলে ওয়েড ক্যাচ দেন ডেভন কনওয়েকে। ১২.২ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৮২। সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ১৭.১ ওভারে অজিরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে।
২.১ ওভারে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সাউদি। ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন স্যান্টনারের।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে কিউই ওপেনার অ্যালেন তোলেন ঝড়। তাই মাত্র ৩ ওভারেই নিউ জিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৪৬ রান। তবে স্টয়নিস এসে রানের গতিতে কিছুটা বাদ সাধেন। এদিকে জস হ্যাজেলউড অজিদের সাফল্য এনে দেন ৫ম ওভারেই। তাকে এগিয়ে এসে মারতে চেয়ে মিস করে বোল্ড অ্যালেন। মাত্র ১৬ বলের ইনিংসে ৫ চার ৩ ছয়ে ৪২ রান করে যান অ্যালেন।
অ্যালেনের আউটে চুপসে যায় নিউ জিল্যান্ডের রান তোলার গতিও। প্রথম ২৪ বলে ৫৬ রান তোলা নিউ জিল্যান্ড উইকেট হারানোর পরের ৩৫ বলে তোলে মাত্র ৪১ রান। এর মধ্যে ১৯ বলে ২৮ রানই কনওয়ের, অধিনায়ক উইলিয়ামসনের খেলা ১৬ বল থেকে আসে মাত্র ১২।
কিউই অধিনায়ক রান তুলতে পারেননি থিতু হওয়ার পরও। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস থামে অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবি হয়ে। নিউ জিল্যান্ড রান পায়নি চারে নামা গ্লেন ফিলিপস থেকেও। হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ১০ বলে ১২ রান করে যান তিনি।
তবে উইলিয়ামসন–ফিলিপস ডানা মেলতে না পারলেও নিউ জিল্যান্ড রান পেয়েছে প্রতি ওভারেই। ৩৬ বলে ফিফটি ছোঁয়া কনওয়ের ব্যাটে চড়ে ১৬ ওভারে দেড় শ পেরিয়ে যায় কিউইরা। শেষ চার ওভারে কনওয়েকে দারুণ সঙ্গ দেন জিমি নিশাম। এই ২৪ বলে ৪৮ রান পেয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। ১৩ বল খেলে দুই ছয়সহ ২৬ রান তোলেন নিশাম, যার মধ্যে ইনিংসের শেষ বলের ছয়ে ২০০ স্পর্শ করে নিউজিল্যান্ড। ৭ চার ২ ছয়ে ৫৮ বলে কনওয়ে অপরাজিত থাকেন।
Discussion about this post