ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
হতাশ নিয়ে ব্রিস্টল ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। এবার নতুন এক শহরে। সঙ্গে পুরনো স্বপ্ন। বুধবার বিকেল চারটায় টনটনের টিম হোটেলে এসেছে দল। এখন বাংলাদেশের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যাদের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবেন মাশরাফিরা। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর সিরিজ জেতে নিজেদের মাটিতেও। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনবার ক্যারিবীয়দের হারায় টাইগাররা।
এবার বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা। শুক্রবার থেকে আবার শুরু হবে অনুশীলন। পরপর দুই ম্যাচে হেরে এমনিতেই সেমিফাইনালে জায়গা পাওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশের। তাই গত পরশু শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আবারও আশা বাঁচিয়ে রাখার চিন্তা করেছিল টিম টাইগার্স।
তিন ম্যাচ জিতেপয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে নিউজিল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই কিউইরা এ টুর্নামেন্টের সেমিতে জায়গা পেতেই পারে। স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও ভারতকে এবারের আসরের ফেভারিট মানছেন সবাই। দল দুটি খেলছেও দারুণ। তাই সেমিফাইনালের লাইনআপে বাকি থাকছে একটি স্পট। সেটির দাবিদার অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া এবং বৃষ্টিতে ম্যাচ পণ্ড হওয়ার কারণে দুই পয়েন্ট পেয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা। পয়েন্ট তালিকায় চার ও পাঁচ নম্বরে যে আছে এ দুটি দলই।
চলতি বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলে আপাতত বাংলাদেশ রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে। যাদের সঙ্গেই পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে টাইগাররা। খেলা হবে টন্টনে। তার আগে ক্যারিবীয়দের বিগ শট ভয়ের শঙ্কা তৈরি করছে টাইগারদের শিবিরে।
এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের ১টি জয় ২টি হার ও ১টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি। তার মানে সেমিফাইনালে জায়গা পাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে হলে টাইগারদের অন্তত আরও জিততে হবে তিনটি ম্যাচ। এ হিসেব করলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে হবে রোডস শিষ্যদের। বাংলাদেশের হাতে রয়েছে আর মাত্র ৫টি ম্যাচ। এরমধ্যে অন্তত চারটি জয় তাই মাশরাফি বিন মর্তুজাদের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্নপূরণের চেয়েও কঠিনতর মনে হচ্ছে।
Discussion about this post