ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
জাতীয় লিগের ম্যাচ চলাকালিন সময় মাঠেই এক সতীর্থের গায়ে তুলেন শাহাদ হোসেন। এ অপরাধে সাবেক এ পেসার হয়েছেন দুইদিন বহিষ্কার। তবে ব্যাপারটি হয়তো এখানেই থেমে থাকছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এ ডানহাতিকে দিতে পারে আরও বড় শাস্তি।
হালকা কথা কাটাকাটি, এরপর শুরু হয়ে গেল চড়-থাপ্পড়! জাতীয় লিগের ম্যাচে মাঠেই সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুললেন শাহাদাত হোসেন। এমন ঘটনা ঘটেছে রবিবার খুলনায় জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে যা জানা যাচ্ছে, বল ঘষে উজ্জ্বল করা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাহাদাত ক্ষিপ্ত হন সতীর্থ অফ স্পিনার আরাফাত সানি জুনিয়রের ওপর। তার আগে মিস ফিল্ডিং নিয়েও আরাফাতের ওপর শাহাদাত খেপেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
শাহাদাতের কথায় আরাফাতও পাল্টা জবাব দিলে এক পর্যায়ে সতীর্থ এই ক্রিকেটারকে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন শাহাদাত। আম্পায়ার এসে সরিয়ে দেওয়ার পরও শাহাদাত আবার গিয়ে মারতে থাকেন। পরে সতীর্থরা তাকে একরকম জোর করেই নিয়ে যায় মাঠের বাইরে। ম্যাচ রেফারি শাস্তির জন্য ম্যাচ শেষের অপেক্ষা করেননি। আচরণবিধির লেভেল ৪ ভেঙেছেন শাহাদাত, যা অত্যন্ত গুরুতর। আইন অনুযায়ীই ম্যাচের শেষ দুই দিনের জন্য বহিষ্কার করা হয় ৩৩ বছর বয়সী পেসারকে।
ঘটনা যা ঘটেছে, ম্যাচ রেফারি তার রিপোর্টেই উল্লেখ করে দিয়েছেন। তাৎক্ষনিক এই শাস্তির পর শাহাদাতের সামনে ঝুলছে আরও বড় সাজার খড়গ। ম্যাচ রেফারি তার প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন টেকনিক্যাল কমিটি প্রধানের কাছে। টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘ম্যাচ রেফারি উল্লেখ করেছেন যে লেভেল ৪ ভেঙেছে শাহাদাত। এই ধারা ভাঙলে ১ বছর থেকে আজীবনও পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারে। কালকে আমদের টেকনিক্যাল কমিটির সভা হবে, তারপর আমরা বলতে পারব।’
এর আগে নিজ বাসার শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে জেলে যেতে হয়েছিল শাহাদাতকে। তবে মানবিক কারণে পরে তাকে ঐ অপরাধ থেকে মুক্তি দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ করে দেয় বিসিবি। কিন্তু ফের এ পেসার করলেন একই ধরনের কাজ।
Discussion about this post