বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল আজ সকালেই নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। শুধু তিনি নন, আরও ১৪ জন হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এতে একঝটকায় নির্বাচনের সমীকরণ আমূল বদলে গেছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তামিম, ‘আজ আমিসহ প্রায় ১৪-১৫ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। কারণটা খুবই পরিষ্কার। আমি শুরু থেকেই বলছি-এটা কোনো নির্বাচন না, বরং এক ধরনের খেলা। যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তাই করা হচ্ছে। ক্রিকেটের সঙ্গে এই প্রক্রিয়া কোনোভাবেই মানায় না।’
এই তারকা ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘আরও অনেকেই নাম প্রত্যাহার করতেন, কিন্তু তাদেরকে নানা উপায়ে থামানো হয়েছে। আজ যদি ১৫ জনও নাম সরিয়ে নেন, সেটাই যথেষ্ট বড় বার্তা। এটা আমাদের প্রতিবাদ।’
বিসিবির এই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে তিনি সরাসরি ‘ফিক্সিং’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আপনারা বলেন ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করতে হবে। আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, তারপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করবেন। এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই নয়। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে একটা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।’
তামিমের ক্ষোভের তীর ছিল বোর্ডের বর্তমান নীতিনির্ধারকদের দিকেও। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘বোর্ডের যারা আছেন তারা চাইলে এভাবে নির্বাচন করতে পারেন, জিততেও পারেন। কিন্তু আজ ক্রিকেট ১০০% হেরে গেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
সবশেষে সাবেক এই অধিনায়ক জানিয়ে দেন, তিনি এবং তার সহযাত্রীরা আর কোনোভাবেই এই প্রক্রিয়ার অংশ হবেন না, ‘আমরা কোনোভাবেই এই নোংরামির সঙ্গে থাকতে পারি না। সবাই জানে কারা কী করেছে, নিয়ম কীভাবে সুবিধামতো পাল্টানো হয়েছে। ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ আমি বিস্তারিত বলব।’
আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনে তামিম ইকবালের মতো শক্তিশালী প্রার্থীর সরে দাঁড়ানো পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নতুন বিতর্কের মুখে ঠেলে দিয়েছে।










Discussion about this post