ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটা হতাশার অন্য নাম হয়েই থাকবে। ব্যাটসম্যানরা কিছুই করতে পারেনি। আর পায়নি জয়ের পথ। সেন্ট কিটসে বুধবার ডাকওয়ার্থ ও লুইস ম্যাথডে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
ব্যাটিং উইকেটে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে ১৪৩ রান। সাকিব আল হাসান মনে করেন এখানটাতেই হেরে গেছে তার দল। ওয়ার্নার পার্কের মাঠে কমপক্ষে ১৮০ রান দরকার ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এ কারণেই ব্যাটসম্যানদের নিয়েই কথা বললেন সাকিব। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘দেখুন, ম্যাচের শুরুতে উইকেট হারিয়েছি আমরা। সমস্যা ছিল এটাই। শুরুতে উইকেট হারানোর পর আমার আর লিটনের একটা জুটি হয়েছিল। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আমরা পরপর দুই বলে ফিরে গেছি। এটা একটা বড় ধাক্কা।’
এখানেই শেষ নয়, সাকিব আরো বলেন, ‘তারপর মুশফিক ভাই আর রিয়াদ ভাইয়ের একটা জুটি হল। পরে মুশফিক ভাই আউট হয়ে গেলো। এ কারণেই বড় স্কোর করতে পারিনি। যেমন উইকেট ছিল, যে মাঠ এখানে অন্তত ১৮০ রান যদি করতে না পারি তাহলে লড়াই করাই কঠিন।’
বৃষ্টির জন্য প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচের খেলা বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকায় ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ১১ ওভারে ৯১ রান লক্ষ্য দাঁড়ায় উইন্ডিজের। সেই লড়াইয়ে ১১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এই রান নিয়ে লড়াই করা কঠিনই মনে করেন সাকিব। তিনি বলছিলেন, ‘এই উইকেটে ৯১ রান ডিফেন্ড করা খুবই কঠিন। তাদের একাধিক কোয়ালিটি টি-টুয়েন্টি ব্যাটসম্যান আছে।’
এই ধাক্কা সামতলে উঠার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের। ৫ আগস্ট ফের ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ফ্লোরিডায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে সাকিবের দল। তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচটি একই ভেন্যুতে হবে ৬ আগষ্ট।
সেই লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চান সাকিব। জানালেন, ‘আমরা পরের দুটি ম্যাচ নতুন ভেন্যুতে খেলবো। আশা করছি সেই ভেন্যু আমাদের জন্য মানানসই হবে।’
Discussion about this post